বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ফুড প্রসেসিং কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, মৃত ৫৩, নিখোঁজ বহু

ডেস্ক: বাংলাদেশের নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জের একটি ফুড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের কারখানার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৩। গুরুতর আহত ৫০ জন। এখনও নিখোঁজ ১২ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বাংলাদেশের পুলিশ এবং দমকল বিভাগ৷


জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ৬ তলা কারখানায় আগুন লেগে যায়। সেই আগুনে আটকে পড়েন বহু শ্রমিক। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই উপরের তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন নীচে। অনেকে বাইরে বেরোতে না পেরে আগুনে ঝলসে যান।  ওই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ বের করে আনা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। নিখোঁজ ব্যাক্তিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। দমকল কর্মীরা কারখানাতে ঢুকে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।


 দাহ্য পদার্থ থাকাতে আগুন আরও মারাত্মক আকার নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আগুনের ফুলকি দেখা যায় ওই কারখানাতে। এরপর ধীরে ধীরে তা ভয়ঙ্কর আকার নেয়। সূত্রের খবর, সেই সময় কারখানার মধ্যে ১০০জনেরও বেশি শ্রমিক কাজ করছিল। আগুন লাগার পরে যদিও অনেককেই কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বার করে নিয়ে আসেন সে দেশের দমকলকর্মীরা।

আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্যের


পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক দেহই এমন বিশ্রী ভাবে পুড়ে গিয়েছে যে সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা অসম্ভব৷ নিখোঁজ কর্মীদের পরিজনেরা কারখানার বাইরে ভিড় করেছেন৷ কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, গ্যাস লাইন লিক অথবা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে৷

Related posts

পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা? নেপথ্যে শুভেন্দু?সন্দেশখালি স্টিং ভিডিও নিয়ে তোলপাড় রাজ্য

তাপপ্রবাহের বিদায় নেওয়ার পালা, এ বার কালবৈশাখীর বিশেষ সতর্কতা

বিদ্যুতের মাশুল কি সত্যিই বেড়েছে? না কি রাজ্য সরকারের ‘বদনাম’ করতে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো চর্চা!