মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতিদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব এবার সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) গ্রহণ করল। বৃহস্পতিবার রাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের হয়, আর শুক্রবার সিআইডির একটি দল সেখানে পৌঁছায়। এরপরই সরকারি ভাবে মামলার তদন্তভার নেয় তারা।
৭ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঁচজন প্রসূতি সন্তান প্রসবের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযোগ ওঠে, স্যালাইনের মান খারাপ থাকার কারণেই তাঁদের অসুস্থতা। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয় এবং বৃহস্পতিবার আরও একটি শিশুর মৃত্যু ঘটে।
এই ঘটনার জেরে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের তালিকায় মেডিক্যাল কলেজের সুপার ও আরএমও-র নামও রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ঘটনার পর কোতোয়ালি থানায় ১২ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। জেলা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন, যার ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে।
এর আগে, সিআইডির অনুসন্ধান দলের সদস্যরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে দুই জুনিয়র ডাক্তার ও চার নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তকারীরা মেডিক্যাল কলেজের সুপার জয়ন্ত রাউতের সঙ্গেও কথা বলেন। এখন সরকারি ভাবে মামলার দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর, তদন্ত আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।