ওয়েবডেস্ক : “ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।” জনসভায় হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। টুইট বিতর্কে গেরুয়া রোষ থেকে সায়নী ঘোষকে রক্ষা করতে এ বার ঢাল হয়ে এগিয়ে এলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানিয়ে দিলেন, বিজেপি বাংলার শিল্পীদের চোখ রাঙাবে, তা বরদাস্ত করবেন না তিনি। সোমবার হুটমুড়ায় শতাব্দী রায়কে নিয়ে সভা করেন মমতা। সেখানেই বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘সায়নী বলে একটা মেয়ে ফিল্মে কাজ করে। তাকে ধমকানো হচ্ছে। চমকানো হচ্ছে। আজ সকালেও শুনলাম তাকে ধমকাচ্ছে বিজেপি। এত বড় ক্ষমতা ওদের! ’’
বিজেপিকে তুলোধোনা করে মমতার আক্রমণ, ‘‘দিল্লিতে গিয়ে ধমকাও, উত্তরপ্রদেশে গিয়ে ধমকাও, বিহারে গিয়ে ধমকাও। বাংলায় ধমকানোর আশা আসে কোত্থেকে? এখানে ধমকালে বাংলার মানুষ লিউকোপ্লাস্টার দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেবে।
অত সহজ নয়। ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও, ক্ষমতা থাকলে টালিগঞ্জের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও, ক্ষমতা থাকলে বাংলার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।’’
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর ডেরায় মাস্টারস্ট্রোক, নন্দীগ্রামেই প্রার্থী মমতা
নাম না করে তথাগতকেও একহাত নেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘বয়স হয়ে গিয়েছে। তবুও ভীমরতি যায় না। নাতনির বয়সি মেয়েকে প্রতিদিন হুমকি দিচ্ছে। কেন? তার কি স্বাধীন ভাবে কথা বলার অধিকার নেই?’’
ধর্মীয় স্লোগান নিয়ে সম্প্রতি টুইটারে তথাগতর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সায়নী। তাতে নায়িকার টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট হওয়া ৫ বছর পুরনো একটি গ্রাফিক তুলে আনেন তথাগত রায়।
৫ বছর আগের ওই পোস্ট তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে বলে এর পর দাবি করতে শুরু করেন। এমনকি রবীন্দ্র সরোবর থানায় সায়নীর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন।
ভোটের আগে টলিউড থেকে এমনিতেই গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। এমনকি একদা মমতার ছত্রছায়ায় থাকা অনেক শিল্পীও এখন গেরুয়া শিবিরে যেতে মুখিয়ে রয়েছেন বলে খবর।
এই অবস্থায় সায়নীকে নিয়ে বিতর্কে আড়াআড়ি বিভক্ত শিল্পীমহল। সায়নীর সমর্থনে এগিয়ে এসেও বিপাকে পড়েছেন অনেককে। এমন পরিস্থিতিতে টলিউডকে বার্তা দিতেই মমতার এমন মন্তব্য বলে মনে করছেন অনেকে।