নয়াদিল্লি: ভারতে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা ব্রাজিলের মতো দেশে নতুন করে উদ্ভূত পরিস্থিতি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির উদ্দেশে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবারই বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
চিনের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শীতেই করোনার নতুন স্ফীতি আছড়ে পড়তে পারে। পুরো ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। INSACOG নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্টগুলি চিহ্নিত করতে পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর জন্য সমস্ত রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ সমস্ত রাজ্যকে চিঠিতে লিখেছেন, “জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, ব্রাজিল এবং চিনে আকস্মিকভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, INSACOG নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভ্যারিয়েন্টগুলি চিহ্নিত করার জন্য আক্রান্তের নমুনার পুরো জিনোম সিকোয়েন্সিং তৈরি করা অপরিহার্য”।
রাজ্যগুলির উদ্দেশে চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, “এই ধরনের অনুশীলন দেশে যদি নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব ঘটে, তা সনাক্তকরণ সক্ষম করবে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুবিধাও মিলবে”। কেন্দ্র আরও বলেছে, সমস্ত পজিটিভ রিপোর্টের নমুনা প্রতিদিন সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে ম্যাপ করা INSACOG জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবে পাঠানো উচিত।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অন্যান্য আধিকারিকরা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। পর্যালোচনা বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে ছয়টি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রীদের উপর নজরদারি। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য নির্দেশিকা নির্ধারণ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১১২। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩,৪৯০-এ নেমে এসেছে। ফলে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।