ওয়েবডেস্ক : নিয়ন্ত্রিত জরুরি প্রয়োগ-এর জন্য কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই। রবিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ভিজি সোমানি বলেন, ‘‘দু’টি টিকাই নিরাপদ। নিয়ন্ত্রিত জরুরি প্রয়োগের জন্য এই দু’টি টিকাকে অনুমোদন দেওয়া হল।’’
এই ঘোষণার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন, ‘দেশের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এটি। দেশকে কোভিড মুক্ত করতে এই পদক্ষেপ খুব জরুরি ছিল। ধন্যবাদ সব গবেষক ও বিজ্ঞানীকে’। করোনার নতুন স্ট্রেন ঘিরে এই মুহূর্তে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তাতে ভারতের করোনা থেকে সুস্থতার হার বর্তমানে সন্তোষজনক। তার মধ্যে এই খবর নিঃসন্দেহে আশাপ্রদ।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, জরুরিকালীন বিষয়টি ঠিক কী! বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও ভ্যাকসিন-এর ট্রায়াল শেষ করতে অন্তত ৬ থেকে ৭ বছর সময় লেগে যায়। কিন্তু এই মহামারীর সময় ট্রায়ালে এতটা সময় ব্যয় হলে মুশকিল। তাই যা করতে হবে তাড়াতাড়ি। ফলে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে প্রয়োগের পর সেই ডেটার উপর নির্ভর করে চলবে সারা দেশে টিকাকরণ। নেওয়া হবে ড্রাই রান-এর ডেটা-ও।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের পর ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন করোনা টিকাকে শনিবারই ছাড়পত্র দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তৈরি বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এর পরই মনে করা হচ্ছিল, এই দুই টিকাকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআই। রবিবার হলও ঠিক তাই।
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন প্রথম থেকেই আশাপ্রদ ফল করেছিল। পরীক্ষামূলক প্রয়োগেও ফল ছিল আশাব্যঞ্জক। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে তাই নিয়ন্ত্রিত জরুরি ব্যবহার-এর জন্য এই টিকাকে ছাড়পত্র-র সুপারিশ করা হয়।
দেশের ২৫ হাজার ৮০০ জনের উপর ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। যার মধ্যে ২৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন কো-মর্বিডিটি যুক্ত মানুষেরাও। যাঁদের উপর প্রয়োগ করে বোঝা গিয়েছে, এটি নিরাপদ। কিন্তু এই টিকা কতটা কার্যকর, সেটা সম্পূর্ণ বুঝতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, টিকাকরণের জন্য ইতিমধ্যে ১,১৪,১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের ১২৫টি জেলার ২৮৬টি কেন্দ্রে এই ড্রাই রান হয়েছে।