ওয়েবডেস্ক : নাটকীয় ভাবে তৃণমূল ছাড়লেন দীনেশ ত্রিবেদী। ছেড়ে দিলেন রাজ্যসভার সাংসদপদও। শুক্রবার রাজ্যসভায় নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ”দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল।
আমার অন্তরাত্মার কথা শুনেছি। আর চুপ করে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না আমার পক্ষে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। চারিদিকে রাজনৈতিক হিংসা মারাত্মকভাবে হচ্ছে। গণতন্ত্রে আঘাত হচ্ছে। মোদীজিও বারবার বলেছেন একই কথা। আমি কী করব বুঝতে পারছি না। কিছু তো করতেই পারছি না।
চুপচাপ দেখা ছাড়া কোনও উপায় নেই আমার। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির মাটি আমার জন্মভূমি। এখানে থেকে কিছু বলতে বা করতে না পারলে সরে যাওয়া ভাল। তার থেকে বাংলার ফিরে মানুষের পাশে থাকব।”
একদা বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহের ঘনিষ্ঠ এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে নিয়ে এসেছিলেন। তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি দেশের রেলমন্ত্রী হন। কিন্তু রেলের ভাড়া বাড়ানোয় তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মমতা।
আরও পড়ুন : ১১ মাস পর বাজলো স্কুলের ঘণ্টা, অতিমারী সামলে স্কুলমুখী নবম থেকে দ্বাদশ
কারণ, রেল বাজেট পেশ করতে গিয়ে দীনেশ বলেছিলেন, ‘‘রেল আইসিইউ-য়ে চলে গিয়েছে।’’ ঘটনাচক্রে, দীনেশের অব্যবহিত আগে রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতাই। দীনেশের ওই বক্তব্যের পর রাতারাতি তাঁকে রেলমন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেই দীনেশ এবার দল ছাড়লেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবারই দীনেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি টুইটকে ‘রিটুইট’ করেছিলেন। যা থেকে তাঁর বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে।
এবং সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে পদ্মশিবিরই তাঁর পরবর্তী গন্তব্য হতে চলেছে। ঘটনাচক্রে, একটা সময়ে দীনেশ ছিলেন দিল্লিতে তৃণমূলের ‘মুখ’।