প্রথম পাতা খবর ১১ মাস পর বাজলো স্কুলের ঘণ্টা, অতিমারী সামলে স্কুলমুখী নবম থেকে দ্বাদশ

১১ মাস পর বাজলো স্কুলের ঘণ্টা, অতিমারী সামলে স্কুলমুখী নবম থেকে দ্বাদশ

149 views
A+A-
Reset

ওয়েবডেস্ক : প্রায় ১১ মাস পর খুললো স্কুল, খুশি পড়ুয়ারা। বামেদের ডাকা বনধকে তোয়াক্কা না করেই প্রথমদিন স্কুলে পৌঁছে গেল পড়ুয়ার দল। স্কুলে পৌঁছানো নিয়ে অভিভাবকরা ইতস্তত বোধ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।

তবে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত সরকারি বাস নামিয়েছে রাস্তায়। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, আমরা স্কুল পড়ুয়াদের আটকাচ্ছি না। 

ক্লাসে ফিরছে রাজ্যের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ৪০ লক্ষ পড়ুয়া। প্রায় ১১ মাস পর খোলে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই স্কুল চলবে।  স্কুলে ঢোকা থেকে বেরোনো মানতে হবে রাজ্য সরকারের জারি করা ২৮ পাতার গাইড লাইন। যার অন্যথা করা যাবে না বলে কড়া বার্তা প্রশাসনের। 

আরও পড়ুন : বামেদের ডাকা বন্‌ধে অবরোধ করে জনজীবন ব্যাহত করার চেষ্টা, ধর্মঘটীরা রাস্তায় খেললেন ক্যারাম, ফুটবল, কাটাকুটি

স্কুলের নোটিশ বোর্ডে থাকছে গাইডলাইন। স্কুলের মধ্যেই রাখতে হবে আলাদা আইসোলেশন রুম। স্কুলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্রছাত্রী সকলকে মাস্ক পরতে হবে।  ছাত্র ছাত্রীদের জ্বর বা কোনও শারীরিক সমস্যা হলে অভিভাবকদের তা স্কুলকে জানাতে হবে।

গাইডলাইনে উল্লেখ আছে কম করে সাতদিন তাঁকে বাড়িতে বিশ্রাম করতে হবে।  স্কুলে রাখতে হবে আইসোলেশন রুম। ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসে ঢোকার আগে স্যানিটাইজ করতে হবে প্রত্যেকটি ক্লাসরুম। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পরও স্যানিটাইজ করতে হবে।

বাথরুম পরিষ্কার রাখতে হবে।  সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্লাস ভাগ করে দিতে হবে। একটি বেঞ্জে ১ বা ২ জনের বেশি পড়ুয়াকে বসতে দেওয়া যাবে না। কোনও ভিজিটার বা অভিভাবক স্কুলে ঢুকতে পারবে না।  প্রত্যেক ক্লাসরুমে স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

স্কুলে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্যানিং ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। টিফিন ভাগ করে খাওয়া বা অন্যের জলের বোতল ব্যবহার করা যাবে না।  খেলাধুলো বা অনুষ্ঠানের কোনও আয়োজন করা যাবে না। গোটা বিষয়টি নজরে রাখবেন জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক ও স্থানীয় প্রশাসন। 

প্রত্যেকে শরীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকবেন  প্রধান শিক্ষক। স্কুলে ঢোকার পর যখন তখন যাতে তারা বাইরে বেরিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।  যাঁরা অনলাইনে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি তাদের উপর নজর রাখতে হবে। বিশেষ যত্ন নিয়ে তাদের পড়াতে হবে।

তারজন্য যদি অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়, তার ব্যবস্থা করবেন প্রধান শিক্ষক।  খুব প্রয়োজন ছাড়া যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে ছুটি নিতে পারবেন না শিক্ষক  শিক্ষিকারা। স্কুলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার একটি চেকলিস্ট অভিভাবকদের হাতে দেওয়া হবে।  

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদকের পছন্দ

টাটকা খবর

©2023 newsonly24. All rights reserved.