ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম এবং একই নম্বরের একাধিক ভোটার কার্ড থাকা নিয়ে বিরোধীদের ধারাবাহিক অভিযোগের মুখে বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। দেশের প্রায় ৯৯ কোটি ভোটারের কার্ড খতিয়ে দেখে স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
সবচেয়ে আগে এই নিয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকেছে বাংলার তালিকায়, একই ব্যক্তির নাম রয়েছে একাধিক জায়গায় এবং সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ—একই ভোটার নম্বর একাধিক ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ নিয়ে সংসদীয় প্রতিনিধি দল কমিশনের দফতরেও যায়।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার নির্বাচনের সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও একই অভিযোগ তোলেন। জানান, আচমকা ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, ভোটার কার্ডের ‘ইউনিক নম্বর’ ঘিরে থাকা ২০ বছরের পুরনো সমস্যার এবার সমাধান করা হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসারের তত্ত্বাবধানে দেশের ৪১২৩টি বিধানসভা এবং ১০.৫ লক্ষ বুথের ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে কার্ড যাচাই করবেন কমিশনের আধিকারিকরা।
যেসব স্থানে একই ভোটার নম্বর একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করছেন বলে প্রমাণ মিলবে, সেগুলি সংশোধন করে প্রত্যেকের জন্য আলাদা নতুন নম্বর জারি করা হবে। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা ফেরানোর আশা করছেন রাজনৈতিক মহল।