রাণাঘাটের মঞ্চ থেকেও উন্নয়ন অস্ত্রে শান, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা না দিলে লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি মমতা

ওয়েবডেস্ক : হিংসা, মারামারি নয় কিংবা দল ভাঙানোর রাজনীতি নয়। উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই ফের বাংলার মসনদে বসবে তৃণমূল। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে রাজ‍্য সরকারের হাতিয়ার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ আর ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী।

বিশেষত ‘স্বাস্থ্যসাথী’ যে তার তুরুপের তাস তা বিলক্ষণ জানেন মুখ‍্যমন্ত্রী। সোমবার নদীয়ার রাণাঘাটের সভা থেকেও সেই স্বাস্থ্যসাথীর প্রসঙ্গ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা না দিলে বাতিল করা হতে পারে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের লাইসেন্স। সোমবার রানাঘাটের সভা থেকে এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন : শুধু কোভিড যোদ্ধারাই নয়, প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে নিখরচায় করোনার টিকা দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্প্রতি রাজ্যের সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু কয়েকটি নার্সিংহোম তা মানতে নারাজ। সে খবর পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। সোমবার নদিয়ার রানাঘাটের সভা থেকে তা নিয়েই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘‘অনেক বড় বড় হাসপাতাল কখনও কখনও বলে, আমরা স্বাস্থ্যসাথী করব না। আমরা তাঁদের সঙ্গে মিটিং করে বলব, এই প্রকল্প করতেই হবে।’’ আরও এক ধাপ এগিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা জেলার ছোট ছোট নার্সিংহোমগুলোকে বলছি, স্বাস্থ্যসাথী নিতে হবে। যদি কেউ চিকিৎসা না দেয়, সরকারের হাতে কিন্তু লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা আছে।’’

এদিন সভামঞ্চ থেকেই উন্নয়নের অস্ত্রে শান দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের দিকে ছুঁড়লেন চ্যালেঞ্জ। অন্য কোনও রাজ্য সরকার এত উন্নয়ন করেছে দেখাতে পারলে ‘নাকখত’ দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও বললেন তিনি।

পাশাপাশি এদিনের মঞ্চ থেকে দলবদল সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, “যাকে পাড়ছে, তাকেই নিচ্ছে। বিজেপি এখন ভারতীয় জাঙ্ক পার্টি”।

Related posts

বিকাশকে ঘিরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের

রাজভবন, জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, তদন্তে লালবাজার

মালদহে ভোটপ্রচারে মুখ্যমন্ত্রী, মঙ্গলে জোড়া সভা