মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষে এক অভিযুক্তের ফাঁসি এবং অপর অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জঙ্গিপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। পাশাপাশি, নাবালিকার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।
অক্টোবরে ঘটে যাওয়া এই নির্মম অপরাধের বিচার মাত্র দুই মাসেই সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার আদালত দীনবন্ধু হালদার এবং শুভজিৎ হালদারকে দোষী সাব্যস্ত করে। শুক্রবার রায় ঘোষণা করা হয়। দীনবন্ধুকে ফাঁসির সাজা এবং শুভজিৎকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিজয়া দশমীর সকালে দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়েছিল নাবালিকা। পরে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী দীনবন্ধু হালদার এবং তাঁর বন্ধু শুভজিৎ হালদার নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করেছে। জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করে, ফুল দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
ফাঁসির সাজা ঘোষণার পর পুলিশ প্রশাসনকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ধর্ষকদের সর্বোচ্চ সাজা হওয়া উচিত। এই অপরাধ সহ্য করা হবে না। ফরাক্কা মামলায় দ্রুত বিচার ও শাস্তি অপরাধীদের জন্য কঠোর বার্তা।’’
সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অপরাধের নৃশংসতা বিচার করে দুই অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিলাম। আদালত একজনকে ফাঁসি ও অন্যজনকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।”
এই রায়ের মাধ্যমে রাজ্যে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়ার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল।