কলকাতা: এ বার জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। মঙ্গলবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে এক মহিলার ডাক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে, কিন্তু তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিবিআই। একাধিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৪ সেপ্টেম্বর আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়।
গ্রেফতারের পর থেকে অভিজিৎ মণ্ডল সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। এবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি তিনি জামিন পান, তাহলে সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে চাপ আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই চার্জশিট নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অসন্তোষ প্রকাশিত হয়েছে।
নিম্ন আদালতে অভিজিতের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ এবং অভিজিতের মধ্যে মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল। কল ডিটেলসে তা দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার ফোন করে কথা বলেছিলেন। সে বিষয়ে আরও জেরা এবং অনুসন্ধান প্রয়োজন বলে আদালতে দাবি করে সিবিআই। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার। সে কারণে অভিজিতের জামিনের বিরোধিতা করছে তারা। এ বার তাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিজিৎ।