ডেস্ক: শীতলকুচিতে ‘গণহত্যা’র ঘটনা ঘটেছে, ভিডিও কলে শীতলকুচির নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানালেন মমতা। কোচবিহারের মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। কমিশন আগামী ৭২ ঘন্টা কোচবিহারে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই এদিন শীতলকুচিতে আসার কথা থাকলেও কর্মসূচী বাতিল করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শিলিগুড়িতে থেকে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
চতুর্থ দফা নির্বাচনে নজিরবিহীন হিংসার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। রবিবার সকালে কালো পোশাক পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। দাবি করেন, ”শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে।” শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে শীতলকুচির মৃত যুবকের ছবি হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলে মমতা জানিয়েছেন, যে মারা গিয়েছেন তাঁর পরিবারের দায়িত্ব সম্পূর্ণ মমতার। ১৪ তারিখ দেখা করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শোকগ্রস্ত পরিবারবর্গকে সব ধরনের সাহায্য ও পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কমিশনের নির্দেশিকা নিয়ে। শীতলকুচিতে মৃত এক ব্যক্তির স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। আমার যেটুকু আছে সব দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের আসলে মোদি কোড অফ কনডাক্ট!’ আক্রমণ মমতার
শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে। বুক লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে আধাসেনা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও ভয়ঙ্কর ঘটনা, তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তথ্য লুকোতে ৭২ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা কমিশনের।নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধা করি। অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্নিনচিট দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে। নজিরবিহীন ঘটনা, আমাকে আটকাতেই এই আইন।‘
অন্যদিকে কমিশনকে এক হাত নিয়ে রবিবাসরীয় সকালে টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘বিজেপি সমস্ত চেষ্টা করেও মানুষের সঙ্গে আমার দেখা করা এবং তাঁদের দুঃখ–বেদনা ভাগ করে নেওয়া আটকাতে পারবে না। ওরা কোচবিহারের তিনদিন আমার ভাইবোনদের সঙ্গে দেখা করায় বাধা দিতে পারে। তবে চতুর্থ দিন আমি সেখানে যাবই।