কলকাতা: ফের নবান্ন–রাজভবন সংঘাতের আবহ। রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল নবান্ন। রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে কার্যত উচ্চশিক্ষা দফতরকে উপেক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। রাজভবনের সেই চিঠির পালটা উত্তর দিয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠাল উচ্চশিক্ষা দফতর।
সূত্রের খবর, নবান্নের চিঠিতে ৮টি পয়েন্ট লেখা রয়েছে। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল। এবার কড়া চিঠি হাতে পেলেন। সুতরাং সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অকারণে উচ্চশিক্ষা দফতর সম্পর্কে বিরক্তিকর শব্দ লেখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসন এবং ম্যানেজমেন্টে একাধিক কর্তব্য রয়েছে। সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, উপাচার্যকে নিয়োগ করার জন্য রাজ্য সরকার আছে।
সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেটাও এই চিঠিতে প্রথম চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়। চিঠির দ্বিতীয় ভাগে চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক সহায়তা রাজ্যের থেকেই পায়। উচ্চশিক্ষা দফতরের ক্ষমতা রয়েছে যে কোনও নির্দেশ দেওয়ার। আচার্যের দফতরের কোনও ক্ষমতা নেই নতুন করে আইন বা স্ট্যাটুট গঠনের। আচার্য পদ শুধুমাত্র সাংবিধানিক পদ। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল তার ক্ষমতা মনে করিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জানিয়ে দিক।