ডেস্ক: ভ্যাকসিন জালিয়াতি জেরে তোলপাড় রাজ্য, আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। ভ্যাকিসনের নামে শতাধিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে অন্য কোনও ওষুধ। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। ভ্যাকসিনের নামে শরীরে যাওয়া ওষুধের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না তো? খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের আরও একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ভবন।
এদিকে ভুয়ো টিকাকরণকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ধৃতদের নাম, শান্তনু মান্না, সুশান্ত দাস ও রবীন সিকদার।
জানা গিয়েছে, কোনও প্রতারিত যদি ভুয়ো টিকা নেওয়ার কারণে অসুস্থ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন তাহলে, চার সদস্যের কমিটিতে থাকা বিশেষজ্ঞরা পরমার্শ দেবেন সেই রোগীকে। এই কমিটিতে রয়েছেন স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক শান্তনু ত্রিপাঠী, আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল, এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক জিকে ঢালি ও সৌমিত্র ঘোষ।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ বৃদ্ধির জের, ৩দিন বন্ধ সোনারপুর-রাজপুরের বাজার
এদিকে কসবা ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে যাঁদের করোনার টিকাকরণ করা হয়েছিল, তাঁদের টিকা দেওয়ার দায়িত্বভার তুলে নিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই তাঁদের করোনার টিকাকরণ করবে কলকাতা পৌরনিগম । এ দিন কলকাতা পৌর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, যাঁদের ভুয়ো টিকাকরণ করা হয়েছিল, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
যেখানকার ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকে দেবাঞ্জনের কীর্তি ফাঁস হয়েছে সেখানে একটি ক্যাম্প করা হচ্ছে। অন্য দিকে নর্থ সিটি কলেজে চলছে আর একটি ক্যাম্প। ওই কলেজেও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন দেবাঞ্জন। কলেজের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীরা সেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দুই ক্যাম্পে অন্তত ৫০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরই এই ক্যাম্পে ডাকা হচ্ছে।