ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাকে ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের প্রতিটি কোণায়।” নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর টুইট অভিষেকের। দলের নেতা-কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের অন্দরের প্রত্যেকের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদোন্নতি প্রাপ্য ছিল। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন শুধু নয়, তারও আগে থেকে পার্টি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবে তিনি রাজনীতির যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন উত্থান একেবারে সময়ের নিয়ম ও দাবি মেনেই হয়েছে।
টুইটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, “নতুন দায়িত্ব পেয়ে আমি অভিভূত। তৃণমূল ভরসা রাখায় আমি কৃতজ্ঞ। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন দলের প্রতিটি সৈনিক। বাংলাকে জিততে সাহায্য করেছেন। তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তাঁদের এই লড়াই বাংলাকে জিতিয়েছে। মানুষের জন্য কাজ করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখব না। দেশের প্রতিটি কোণে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, কাজ পৌঁছে দেব।” রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিল্লিকে টার্গেট করেই যে তিনি কাজ করবেন, তা টুইটে বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচন টার্গেট। এদিন বৈঠকে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, প্রশান্ত কিশোর নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পার্টির একাধিক নীতিতেত রদবদল করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে দলের প্রত্যেককে বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানুষের পাশে থেকে দায়িত্ব পালনে যেন কোনও খামতি না থাকে! দুর্নীতি ও ফাঁকিবাজি দূরে সরিয়ে মানুষের হিতসাধনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে প্রতিটি পার্টিকর্মীকে।
এবার ২০২৪-এর দিকে তাকিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল শিবির। ইতিমধ্যেই ২০১৯-এই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠকের শেষে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানালেন, ‘অন্য রাজ্যগুলিতে বিস্তার ঘটাতে সাংগঠনিক স্তরে কাজ করতে হবে।’