ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে অক্সিজেনের কালোবাজারি। ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জালিয়াতি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ। কোভিড চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কালোবাজারি রুখতে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর।
সাধারণ মানুষ সরাসরি যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন, তার জন্য হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বরটি হল ৯৮৭৪৯০৯৬৪০। দেওয়া হয়েছে একটি মেইল আইডিও। jointcpcrime@kolkatapolice.job.in। কালোবাজারি ঠেকাতে এই নম্বরে ফোন করে বা মেইল করার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
অক্সিজেনের অভাবে রাজ্য জুড়ে রোগীদের হাহাকার। বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা বার বার সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতেও এক শ্রেনীর মানুষ অক্সিজেন সিলিণ্ডার নিয়ে কালোবাজারি কারবার চালাচ্ছে।সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন অনেক নম্বরই ঘুরছে যেখানে ফোন করলে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তবে সেই নম্বরগুলিতে ফোন করে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। রোগীর পরিবার অক্সিজেনের আশায় অনলাইন মাধ্যমে টাকা দিয়েও পাননি অক্সিজেন। যার ফলে রোগীর মৃত্যুও ঘটেছে।
গত সপ্তাহে বনগাঁ থেকে এমনই দুই প্রতারকে গ্রেফতার করেছে দিল্লী পুলিশ। জানা যায়, ওই দুই প্রতারক পেশায় মোবাইল ব্যবসায়ী। তারা কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে। বাংলাতে এরপরও একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে কলকাতা পুলিশের কাছে। কালোবাজারি রুখতে সাধারণ মানুষও যাতে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন, তার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে কলকাতা পুলিশ।
অক্সিজেন সরবরাহ যাতে দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে, সেজন্যও কলকাতা পুলিশের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পত্রযুদ্ধ, “সংবিধান মেনে যা যা করার সব করব “মমতাকে পাল্টা জবাব রাজ্যপালের
সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অক্সিজেন সরবরাহকারীদের বলা হয়েছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হলে যেন পুলিশকে জানানো হয়, তাহলে বিশেষ করিডরের ব্যবস্থা করা হবে, যার মাধ্যমে দ্রুত অক্সিজেন গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। সেজন্য দুটি হেল্পলাইনও দেওয়া হয়েছে। সেই হেল্পলাইন দুটি হল – ০৩৩২২৫০৫০৯৬, ০৩৩২২১৪৩৬৪৪।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারই রেমডিসিভির নিয়ে কালোবাজারি করার জন্য তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সমস্ত ওষুধ আপাতত কেন্দ্রই সরবরাহ করছে। সেক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল রোগীর পরিবারের হাতে প্রেসক্রিপশন দিয়ে দিচ্ছেন ওষুধ আনতে। খোলাবাজার থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের, যা ইন্ধন দিচ্ছে কালবাজারিতে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।