প্রথম পাতা খবর জাকিরের উপর হামলা বড় ষড়যন্ত্র, কেন্দ্রকে দায়িত্ব নিতে হবে, তোপ মমতার

জাকিরের উপর হামলা বড় ষড়যন্ত্র, কেন্দ্রকে দায়িত্ব নিতে হবে, তোপ মমতার

257 views
A+A-
Reset

ওয়েবডেস্ক : রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনকে খুন করতে বড় ধরনের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকিরকে দেখতে এসে মমতা বলেন, পুরো ব্যাপারটা খুবই ভয়াবহ। কেউ ট্রেন ধরতে যাচ্ছে। সে কোন প্ল্যাটফর্মে যাবে, কখন ট্রেন ধরবে, তার সব খবর আগাম ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে!

যাঁরা জাকিরের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, রিমোট কন্ট্রোলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। জাকিরের সঙ্গে ওর ভাগ্নে ছিল। সে-ও আমায় একই কথা বলেছে। সেটা সত্যি কি না আমি জানি না। বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, মন্ত্রীকে হত্যার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কড়া হয়েছে। ঘটনায় গুরুতর আহতদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা এবং তুলনায় কম আহতদের এককালীন এক লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা, গুরুতর জখম মন্ত্রী

গোটা ঘটনার দায় এবং দায়িত্ব রেলকে নিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,ঘটনাটা ঘটেছে রেলের জায়গায়। অথচ রেল গোটা বিষয়টাকে খুব হাল্কা ভাবে দেখছে।

ঘটনাটা যখন ঘটে, তখন স্টেশন চত্বরের ওই এলাকা পুরোপুরি অন্ধকার ছিল। কাছাকাছি কোনও রেলপুলিশও ছিল না। রেল এ ভাবে তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। প্রসঙ্গত, রেল ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে। রেলের দাবি, তদন্তও শুরু হয়েছে।

রাজ্য সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই রাজ্যে গোয়েন্দা দফতরের একটি দল নিমতিতার ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তারা তদন্তও শুরু করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জাকিরকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং ফুরফুর শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।

হাসপাতাল চত্বরে বসেই দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে, গ্রেফতার করে তাদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তোলেন পুরমন্ত্রী। উঠে আসে বিরোধী প্রসঙ্গ। ফিরহাদ বলেন, বিরোধীরা মন্ত্রীদের সুরক্ষিত থাকতে দিচ্ছে না!

গুজরাতে ২,০০০ লোককে খুন করা হয়েছিল। একজন সাংসদকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটা রাজনৈতিক তরজার সময় নয়। কিন্তু এই প্রশ্ন এবং সন্দেহের জবাবে আমি এই কথাগুলো বলতে বাধ্য হচ্ছি! যে ভাবে কথা গুলো বলা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, ‘এটা ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি’ গোছের ব্যাপার নয় তো!

বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। যাদের হাত-পা উড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার তাঁদের কৃত্রিম হাত-পা লাগানোর ব্যবস্থা করে দেবে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদকের পছন্দ

টাটকা খবর

©2023 newsonly24. All rights reserved.