ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (TRAI) নতুন নিয়মে টেলিকম অপারেটরদের শুধুমাত্র ভয়েস কল এবং এসএমএস-এর জন্য পৃথক রিচার্জ প্ল্যান চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি ট্রাই নিজের টেলিকম কনজিউমার প্রোটেকশন (১২তম সংশোধনী) রেগুলেশন ২০২৪ ঘোষণা করে এই নিয়ম চালু করেছে।
ভারতে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ, যাঁরা ২জি পরিষেবা ব্যবহার করেন, ডুয়াল সিম চালান, অথবা প্রবীণ নাগরিক ও গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ। ট্রাই জানিয়েছে, অনেক গ্রাহক ডেটার প্রয়োজন অনুভব করেন না। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে তাঁরা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিষেবার জন্যই খরচ করবেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী:
- টেলিকম অপারেটরদের কমপক্ষে একটি বিশেষ ট্যারিফ ভাউচার চালু করতে হবে যা শুধুমাত্র ভয়েস এবং এসএমএস পরিষেবার জন্য।
- এই রিচার্জের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩৬৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে।
- বিশেষ রিচার্জ কুপনের বর্তমান ৯০ দিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩৫৬ দিন পর্যন্ত করা হয়েছে।
- গ্রাহকদের জন্য ১০ টাকার ন্যূনতম রিচার্জের ব্যবস্থা চালু থাকবে, তবে অপারেটররা যেকোনো মূল্যের রিচার্জ কুপন চালু করতে পারবে।
ট্রাই-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ১৫ কোটি ২জি গ্রাহক রয়েছেন। প্রবীণ নাগরিক এবং ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী অনেক পরিবার শুধুমাত্র ভয়েস এবং এসএমএস পরিষেবার প্রতি আগ্রহী। এই উদ্যোগ তাঁদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ট্রাই-এর এই পদক্ষেপ গ্রাহকদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিলেও রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের মতো টেলিকম কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কৌশলে প্রভাব ফেলতে পারে।
রিলায়েন্স জিও ২জি পরিষেবাকে ভারতের ডিজিটাল অগ্রগতির অন্তরায় হিসেবে দেখছে এবং তা ধীরে ধীরে বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। ভারতী এয়ারটেল ২জি থেকে ৪জি-তে গ্রাহকদের স্থানান্তরিত করতে উদ্যোগী। ভোডাফোন আইডিয়া ৪জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে এই রূপান্তর দ্রুত করার জন্য।
ট্রাই জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ডেটা অন্তর্ভুক্তিকরণে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে গ্রাহকদের জন্য আরও নমনীয়তা এবং পছন্দের সুযোগ দেবে।