হিমাচলপ্রদেশে ভয়াবহ বর্ষা ও তার জেরে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৭ জনের, নিখোঁজ ৪০ জনের বেশি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্ডি জেলা। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ৪০০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) রাজ্যের একাধিক জেলায় ৭ জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করেছে। ৫ জুলাই সিমলা, সোলান ও সিরমাউরে এবং ৬ জুলাই উনা, বিলাসপুর, হামিরপুর, কাংগ্রা, চাম্বা ও মান্ডিতে রয়েছে এই সতর্কতা। বাকি রাজ্যে ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি রয়েছে।
সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থা মান্ডি জেলায়। সেখানে প্রবল বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বহু ঘরবাড়ি ও পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, নিখোঁজ অন্তত ৩৪ জন। বহু রাস্তা বন্ধ, বিদ্যুৎ ও জলের সরবরাহও ব্যাহত। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে উদ্ধার কাজে লিপ্ত, দুর্গম গ্রামে হেলিকপ্টারে খাবার ও সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।
সারা রাজ্যে প্রায় ২৫০টি রাস্তা বন্ধ, ৫০০-রও বেশি ট্রান্সফরমার অচল এবং ৭০০-রও বেশি পানীয় জল প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত। রাজধানী সিমলার স্কুলে জল ঢুকে যাওয়ায় ক্লাস বাতিল করতে হয়েছে। শিমলায় চার লেনের রাস্তার একাংশ ধসে পড়েছে, মান্ডিতে একটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
পরবর্তী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় রাজ্য প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ চলছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার ও সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার আবেদন জানানো হয়েছে।