ডেস্ক: এবার ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীর আসার পালা। কোজাগরী পূর্নিমায় মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাঙালি। লক্ষ্মীপুজোর আগেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আবহাওয়ার অশনি সংকেত। এদিকে ভিলেন বৃষ্টির দাপটে বাজারে ফল, শাকসব্জির এখন আগুন দর।করোনায় কারও চাকরি গেছে। কারও বেতন কাটছাঁট হয়েছে! সংসার চালানোই দায়। এরইমধ্যে পেট্রোল, ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাস,সব কিছুর দাম হু হু করে বাড়ছে। সব্জি থেকে মাছ, মাংস.. ছোঁয়ায় দায়! উৎসবের মরশুমে হাসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের।এর জন্য সরকারকেই দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।
আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় দুর্গাপুজো কাটতেই ঘনীভূত হয়েছে নিম্নচাপ। চলছে টানা বৃষ্টি। আর এতেই লক্ষ্মী পুজোর (Laxmi Puja) আগে মুখভার সবজি,ফল,ফুল বিক্রেতাদের। শুধু ব্যবসায়ী নয়, পুজোর আগে বাজারে ত্রেতার তেমন ভিড় না থাকায় দুঃশ্চিন্তায় পড়ছেন সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সমস্যায় পড়ছেন মৃৎশিল্পীরাও।
সবজি থেকে মাছ-মাংস, যেভাবে সবকিছুর দাম বেড়েছে, তাতে হাত দিলেই ছ্যাঁকা খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরা। ৫০-৬০ টাকার বেগুন কিনতে হচ্ছে ৭০-৮০টাকায়। ৬০-৮০ টাকা কেজি ছিল লঙ্কার দাম। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। টম্যাটো ১০০ টাকা। পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। পটলের কেজি ছিল ৪০ টাকা, তা এখন বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। ৪০ টাকার ঢ্যাঁড়স কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দিয়ে। ৩০ টাকার গাজরের দাম এখন ৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: দিনভর ভারী-অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
বিক্রেতারা বলছেন বৃষ্টি হচ্ছে, জলের নীচে খেত। তাই দাম বেশি। শুধু কী সব্জি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছ-মুরগির মাংসের দামও। মাস খানেক আগেও কাটা রুই-কাতলা যেখানে, প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, সেখানে এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। অন্যদিকে ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। আপেল বা নাসপাতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি ডজন। শাঁকালু প্রতি কেজি ১০০ টাকা।
দর এতো বেশি হওয়ার ফলে অনেকেই অল্পস্বল্প বাজার সেরে সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। করোনা আবহে গত বছর পুজোর বাজার তেমন জমেনি। চলতি বছর আশায় বুক বেঁধেছেন দোকানিরা। তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি তাতেও জল ঢেলে দিয়েছে। করোনার জেরে এমনিতেই সব পুজোয় অনেক কাটছাঁট হয়ে গিয়েছে। তার উপর এই বছর লক্ষ্মী পুজোর আগে টানা বৃষ্টি।আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সমস্যায় পড়েছে মৃৎশিল্পীরাও।এবছর যেটুকু অর্ডার মিলেছে লক্ষ্মী পুজোয়,তার অর্ধেক প্রতিমার কাজ সম্পুর্ণ হয়েছে।