কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল থেকে একের পর এক নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হতেই কেউ বেসুরো, কেউ তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। যার জেরে প্রবল অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে। এ প্রসঙ্গে শমীক জানান, বিজেপি কাউকে জোর করে আনেনি। অনেকেই ভেবেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছেন। অনেকে কাঁদতে কাদতে এসেছিলেন। এখন হাসতে হাসতে চিঠি লিখছেন। যাঁরা যে যেখানে গিয়ে শান্তি পাবেন, শান্তি পান।
অন্তত ৩৩ জন বিজেপির বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতার কাছে শনিবার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে কিছুটা জবাবে কিছুটা রুষ্ট কণ্ঠে বলে ওঠেন, “আমাদের কাছে তো খবর আছে ৭২ জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে যাচ্ছে।” এদিন শমীককে বলতে শোনা যায়, “লটারি পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উত্তরণ হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে পৌঁছেছেন সেটা তাঁর কষ্টার্জিত জায়গা। ফলে কে কোথায় আছেন, কার সঙ্গে কার যোগাযোগ রয়েছে, সেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিলক্ষণ জানেন।”
দলের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমার কাছে যত তথ্য আছে, ফোন নম্বর বদল হওয়ায় এই সমস্যা। উল্লেখ্য, সৌমিত্র দলের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বলে খবর। আর এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
‘বেসুরো’ প্রবীর ঘোষাল-সহ জল্পনার কেন্দ্রে থাকা মুকুল রায়ের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শমীক। মুকুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রায় পরিবারকে এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজনীতিতে টেনে আনা ঠিক না।” অন্যদিকে প্রবীর ঘোষাল সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “ওনার আবেগতাড়িত বক্তব্য নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি।”
উল্লেখ্য, এদিনই শুভ্রাংশু-মুকুলের দলত্যাগের জল্পনা নিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর কটাক্ষ, “হাতির পিঠ থেকে দু-একটা পিঁপড়ে পড়ে গেলে বা নেমে গেলে হাতির কিছু যায় আসে না। বিজেপির কোনও সমস্যা নেই। যাঁদের যাওয়ার তাঁরা যেতে পারেন। বিজেপি এসব নিয়ে চিন্তিত নয়।”
আরও পড়ুন: ত্রাণের চুরির অভিযোগে শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হল FIR
করোনার টিকার শংসাপত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে তিনি বলেন, কত টিকা পেয়েছে, তা শ্বেতপত্র দিয়ে জানাক রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি থাকায় তা নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল। কেন্দ্র এখন যে টিকা দিচ্ছে, রাজ্য যা কিনছে, সব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব বাড়ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য হলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্ভর রাজনৈতিক দল। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় পদ পাবেন সেটাই স্বাভাবিক।’