ডেস্ক: বাংলায় করোনার গ্রাফ উর্ধমুখী, পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘আগামী ১৫ দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। ভয় দেখাচ্ছি না, সবাইকে সতর্ক করছি।’
রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাসে দয়া করে ভিড় করবেন না। একটু হয়তো বাড়তি অপেক্ষা করতে হবে। লোকাল ট্রেন বাতিলের ফলে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বেন জানি, তাই রাজ্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। বিনামূল্যে যাতে সবাই রেশন পায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের দেখতে বলেছি।’
এর পাশাপাশি বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের বিভিন্ন বণিকসভাকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবারের মতো রাজ্যের বিভিন্ন বাজারের দায়িত্ব তাদেরকে নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। এমনিতেই রাজ্যে ৫০ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে জনমানসে পরিস্থিতির গুরুত্ব নিয়ে বাড়তি সচেতনতা প্রসারের বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে কোনও এলাকায় যাতে ভিড় না হয় সেটা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলোকে এগিয়ে আসার ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন বলেন,”রাজ্যের ১০৫টি সরকারি হাসপাতালে বসছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। জেলা, মহকুমা, মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্ল্যান্ট বসানো হবে। তারা নিজেরাই করবে। জেলা মেডিক্যাল কলেজগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে করতে গেলে সময় লাগতে পারে। যাতে সময় নষ্ট না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত। বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করবে এই প্ল্যান্ট। ডায়মন্ড হারবার ও কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যেই বসে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: কথা রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেই শীতলকুচিকাণ্ডে সিট গঠন করলেন মমতা
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে নার্সিংহোম ও হাসপাতালে ৪০ শতাংশ বেড় বাড়াতে অনুমতি দেওয়া, মেডিকেল কলেজ সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি ডাক্তার, নার্স ও প্যারা-মেডিক্যাল ইন্টার্নদেরও কাজে লাগানো হবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান,”ডাক্তার, নার্স ও প্যারামেডিক্যাল ইন্টার্ন ও স্নাতকোত্তর তৃতীয়বর্ষের পড়ুয়াদের কাজে লাগানো হবে। যেহেতু পরীক্ষা স্থগিত ফলে এই কাজের জন্য সুবিধা হবে তাঁদের। এতে ২ হাজার ডাক্তার ও নার্স বেশি পাব। ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোয়াক ডাক্তারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বন্ধু নাম দিয়ে আমরা কাজে লাগাব। জেলাগুলিও কাজে লাগাবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মী বললে ভালো হবে।”