বিভিন্ন দাবি নিয়ে রেল অবরোধ কুড়মিদের, প্রভাব তিন জেলায়

বুধবার সকাল থেকে অবরোধ শুরু পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর লোকাল থানার খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেলস্টেশনে। কুড়মি সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতিভুক্ত করা-সহ আরও বেশ কিছু দাবিতে রেললাইনে নেমে ধামসা মাদল বাজিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় সরাসরি প্রভাব পড়েছে এই অবরোধের।

আদিবাসী কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামের এই অবরোধ কর্মসূচি।

রেল অবরোধের ঘোষণার পর বুধবার ৪৮টি ট্রেন বাতিল করেছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্তও করা হয়। তার জেরে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পথে নেমে নাকাল হয়েছেন অনেকে। ঝাড়গ্রামে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে বহু যানবাহন। বাঁকুড়ায় সড়ক বা রেল অবরোধ না হলেও পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর এই দুই জেলার অবরোধের প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবায়।

পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন রেল লাইন অবরূদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার সকাল থেকে খড়্গপুর এবং আদ্রা শাখার বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পুরুলিয়া এক্সপ্রেস ছাড়াও কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ খাটো করা হয়েছে। তা ছাড়া একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়া জেলাতেও। দুরপাল্লার একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করে গোমো দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Related posts

ফের দুর্ঘটনা! হেলিকপ্টারের আসনে বসতে গিয়ে চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী

সন্দেশখালি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল, সিবিআইয়ের পদক্ষেপ ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিযোগ শাসক দলের

জেলায় জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা, বুধবারের আগে স্বস্তি নেই