একুশে বাংলায় পদ্ম ফুটবেই, দাবি বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ওয়েবডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘পাড়ায় সমাধান’ যে যথেষ্ট দাগ কাটছে তা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিল বিজেপি। বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রথম যে সভা করলেন সেখানেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপি নীলবাড়ি দখল করতে পারলে সরকার প্রথম দিন থেকেই ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি নেবে।

রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলায় প্রথমবার গেরুয়া শিবিরের সমবেশে এলেন রাজীব। আর সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের নিন্দা করে তিনি বলেন, ভোটের মুখে দুয়ারে সরকার করতে হচ্ছে।

তার মানে এতদিন মানুষের দুয়ারে যায়নি সরকার। পাড়ায় পাড়ায় সমাধান করতে হচ্ছে। তার মানে এতদিন পাড়ায় পাড়ায় সমস্যা ছিল। এর পরেই তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে শুরু থেকেই দুয়ারে দুয়ারে যাবে সরকার। পাড়ায় পাড়ায় যাবে।

ছেড়ে আসা দল ও সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে রাজীব দাবি করেন, বাম আমলের মতো এখনও কথায় কথায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলা হয়। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রের থেকে টাকা আদায় করতে না পারাটা কার ব্যর্থতা?

আরও পড়ুন : সর্বদল বৈঠকে মোদীর সামনেই কেন্দ্রের কড়া সমালোচনায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রশ্ন তোলেন ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প নিয়েও। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী ভাঁওতা। বলা হচ্ছে প্রতি পরিবার ৫ লাখ টাকা কভারেজ পাবে। এক কোটি পরিবার যদি ৫ লাখ টাকা করে পায় তবে কত টাকা হয়? ৫ লাখ কোটি টাকা। সরকারের বাজেট কত?

এখানেই না থেমে রাজীব দাবি করেন, শনিবার তিনি অমিত শাহকে বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক দেনা যেন মকুব করা হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অমিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও দাবি করেন রাজীব।

তৃণমূলে থাকার সময়েও বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্মান না পাওয়ার কথা বলেছেন রাজীব। একই সঙ্গে বলেছেন, তিনি কখনও কাউকে অসম্মান করেননি।

সেই পুরনো কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি রাজীব রবিবার বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব, যতদিন বিজেপিতে থাকব ততদিন কর্মীদের সম্মান করব। আমি মনে করি কর্মীরাই সম্পদ। তাঁদের জন্যই আজকে আমরা নেতা। 

শনিবার রাজীবের সঙ্গে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন উত্তরপাড়া ও বালির বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া। তাঁরা ছাড়াও ছিলেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, রাণাঘাট পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

রবিবারের সমাবেশে আরও অনেক জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিজেপিতে যোগ দেন। তবে তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বাণী সিংহ রায়। তৃণমূলের সূচনার সময়ে রাজ্য সহ-সভাপতি ছিলেন বাণী।

রবিবার নিজের বক্তব্যে সেই কথা উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, দল তৈরির প্রথম ফর্মে সই করেছিলেন মুকুল রায় ও বাণী সিংহ রায়। তাঁরা দু’জনেই আজ বিজেপি-র মঞ্চে।

Related posts

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩ শতাংশ

হুগলির ধনিয়াখালিতে বিক্ষোভের মুখে লকেট, অশান্ত পরিস্থিতি

ভোট চলাকালীন ঝেঁপে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ভিড় ভোটারদের