সর্বদল বৈঠকে মোদীর সামনেই কেন্দ্রের কড়া সমালোচনায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

ওয়েবডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে তাঁর সামনেই নতুন কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করলেন লোকসভায় তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তৃণমূল নিঃশর্তে ওই আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।

এদিন সুদীপ বাবু বলেন, দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হল কৃষি আইন। যেখানে সরকারকে ‘সদর্থক’ ভূমিকা নিতে হবে। তাঁরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের সমালোচনা করতে চান না। কিন্তু, যখন ২০টি বিরোধী দল সেই ভাষণ বয়কট করেছে, তখন সরকারের উচিত বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গিও বিবেচনা করা।

লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জোরে কৃষকদের উপর ‘অবিচার’ হওয়া উচিত নয়। কৃষি আইন ছাড়াও বেকারত্ব নিয়েও মুখ খোলেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, বেকার যুবক, যুবতীরা অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়ছে। দেশজুড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন : গান্ধীজির মৃত্যুবার্ষিকীতে দিল্লি সীমানায় অনশন আন্দোলনরত কৃষকদের

কীভাবে তাদের দিশা দেওয়া যায়, সরকারি চাকরির মাধ্যমে তাদের কষ্ট আদৌ লাঘব করা যায় কিনা, এ নিয়ে সংসদে বিশদে আলোচনা হওয়া উচিত।

কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার ফলে রাজ্য সরকার কাজ করতে পারছে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর ‘চরিত্র এবং দর্শন’ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি ‘এক দেশ, এক রেশনকার্ড’ নীতি নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে, প্রক্রিয়া চলছে তখন রাষ্ট্রপতির ভাষণে দাবি করা হয়েছে, ‘এক দেশ, এক রেশনকার্ড’ ইতিমধ্যেই দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। ওই বিষয়ে সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেন খাদ্য, ক্রেতাসুরক্ষা এবং গণবন্টন দপ্তরের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, লোকসভায় বাজেট ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেবে তারা।

Related posts

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩ শতাংশ

হুগলির ধনিয়াখালিতে বিক্ষোভের মুখে লকেট, অশান্ত পরিস্থিতি

ভোট চলাকালীন ঝেঁপে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ভিড় ভোটারদের