কলকাতা: রাজ্যের করোনার বাড়বাড়ন্ত উদ্বেগ বাড়াছে প্রশাসনের। আজ থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। সংক্রমণের হারের সঙ্গে মৃতের সংখ্যাও উর্ধ্ব,মুখী রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের রবিবারের বুলেটিন বলছে, গত একদিনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ১৪৭ জন রাজ্যবাসীকে মৃত্যু হয়েছে। আবার গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষাও সংখ্যা গত কয়েকদিনের থেকে কিছুটা কম। উল্টোদিকে অবশ্য এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের কার্যত ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা।
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ১১৭ জন। করোনায় জিতেছেন ১৯ হাজার ১১৩ জন। বেশ কিছুদিন পরে গত ২৪ ঘণ্টার সময় ব্যবধানে কমেছে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা। ১৪৩ জন কমে রবিবার রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগী ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৫ জন। আর এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.২০ শতাংশ।
সংক্রমণে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা । সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগণায় নতুন করে মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ১১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। কলকাতায় এই সময়পর্বে নতুন করে সংক্রমিত ৩ হাজার ৪৫১ জন। মৃত ৩৩ জন।
অন্য দিকে, হুগলিতে ১ হাজার ৩৩৯ জন , হাওড়া ১ হাজার ২২২ জন , দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ১ হাজার ২৩৬ জন , নদিয়াতে ৯৯৪ জন , পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯০৩ জন , পূর্ব মেদিনীপুরে ৮৪৯ জন , পশ্চিম বর্ধমানা ৬৯৬ জন , পূর্ব বর্ধমানা ৬০৫ জন , বাঁকুড়াতে ৫৪৪ জন , দার্জিলিং ৫০৯ জন করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় এই আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা রাজ্য প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ।
আরও পড়ুন: এবার থেকে করোনা আক্রান্তের দেহ সুতির ব্যাগে মুড়ে করা হবে সৎকার
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৬ জন, জলপাইগুড়িতে ৮ জন , হাওড়া এবং উত্তর দিনাজপুরে ৭ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের ৬ জন করে করোনা সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। অন্য দিকে, দার্জিলিং এবং বীরভূমে ৫ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, বাঁকুড়ায় ৪ জন , হুগলিতে ৩ জন , পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে মানুষ করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় অবশ্য করোনা পরীক্ষায় সংখ্যা গত কয়েকদিনের থেকে কিছুটা কম। এই সময়পর্বে ৬৪ হাজার ৩২৭টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯ হাজার ১১৭ জনই পজিটিভ। পজিটিভিটি রেট যার ফলে ৯.৯১ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যার বিচারে কমলেও পজিটিভিটি রেটও কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে।