আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়।
গত ৯ আগস্ট এই জঘন্য অপরাধের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআই তদন্তে তাকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে চার্জশিট দেওয়া হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর শনিবার শিয়ালদহ আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও সঞ্জয় শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছে। রায় ঘোষণার সময়ও সে চিৎকার করে জানিয়েছে, অন্যায় সে করেনি, বরং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
বিচারক জানিয়েছেন, তদন্ত ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই রায় দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে। সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
রায় ঘোষণার পর আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সঞ্জয়ের এক দিদি। তিনি জানান, বিয়ের পর ভাইয়ের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। সঞ্জয়ের দু’টি বিয়ে হয়েছিল, তবে মহিলাদের কটূক্তি করত বলে শোনেননি।
ভাইকে কি তিনি দোষী মনে করেন? তাঁর জবাব, “গ্রেপ্তারের পর মনে হয়নি, কিন্তু এখন তথ্য-প্রমাণ সামনে আসছে।” তিনি স্বীকার করেন, সঞ্জয় মদ্যপান করত, তবে এতটা নৃশংস হতে পারে, তা ভাবতে পারছেন না। আদালতের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, “আইন যা নির্দেশ দেবে, তা মেনে নেব।”