ডেস্ক: সৌমিত্র খাঁ’কে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি নতুন কিছু না। বিভিন্ন সময়ে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট কিংবা বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে। আগামী লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপির ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে শোনা গিয়েছে সাংসদকে। বলতে শোনা গিয়েছে, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি তিনটে আসন পাবে।”
শনিবার সন্ধেয় আচমকাই একটি ফোনালাপ সামনে আসে। ফোনালাপে ফোনের একপ্রান্তে সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সেই ফোনালাপে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শোনা গিয়েছে। এমনকী, দলের পরিস্থিতি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র।
আরও পড়ুন: রবিবার ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ ইডেনে, নৈশ কার্ফু শিথিলের ঘোষণা নবান্নের
সৌমিত্রকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি আসনও পাবে না বিজেপি।” এই বিষয়েও বিশ্বস্ত বিজেপি নেতাকে যুক্তিও দেখিয়েছেন সাংসদ। তাঁর মতে, ‘‘বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর একদিনও শুভেন্দু রাস্তায় নামেননি।” বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে করে শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি বাংলা থেকে যে চারজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র শান্তনু ঠাকুর ‘কাজের’। বাংলায় হিন্দুদের মধ্যে ভাগ করছে বিজেপি। নিশীথের নাম উল্লেখ করে সৌমিত্র দাবি করেন, হেরে যাবেন কোচবিহারের সাংসদ। তিনি মন্ত্রী হওয়ায় বিজেপির লোকজনের কোনও লাভ হবে না। বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রয়োজ্য। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “অডিওর সত্যতা ঘিরে সংশয় আছে।” আর দিলীপ ঘোষ বলেন, “কে কার সঙ্গে ফোনে কী কথা বলছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নই।”