রবিবার রাজ্যের ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে অশান্তি ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী হঠাৎ করেই এই বনধ প্রত্যাহারের বার্তা দেন। এদিন নন্দীগ্রামের এক জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “হঠাৎ করে বনধ ডাকায় অনেককে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। দুপুরের পর আর বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামতে হবে না। আমি অনুরোধ করব, বনধ প্রত্যাহার করে নিন।” শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য ঘিরে বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যেই তৈরি হয় চরম বিভ্রান্তি। জানা যাচ্ছে, বনধ প্রত্যাহারের এই বার্তা ঘোষণার আগে নাকি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও রকম আলোচনাই করেননি রাজ্য বিজেপির এই মুহুর্তের এই দাপুটে নেতা ।
রবিবার রাজ্যে ১০৮ পুরসভায় নির্বাচন ছিল। তবে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতে না হতেই দিনভর নানা অভিযোগ তুলে সোমবার বাংলা বন্ধের ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। শুধু বন্ধ ডাকাই নয়, তা সফল করতে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মীরা পথে নামবেন বলেও পদ্ম শিবিরের পক্ষে রবিবার জানানো হয়। দিনের শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরেও যায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। কমিশনকে চিঠি দিয়ে ১০৮ পুরসভার ভোটই বাতিলের দাবি জানায় বিজেপি।
এরপর সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলা বনধ ডাকে বিজেপি। সপ্তাহের প্রথম দিনেই বনধের কারণে চিন্তায় পড়ে সাধারণ মানুষ। এদিন বিজেপির ডাকা এই বনধ সফল করতে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পথে নামে বিজেপি নেতা কর্মীরা। রবিবার বিজেপির ডাকা বনধ নিয়ে তৃণমূল বলেছিল, এই বনধ প্রত্যাখ্যান করবে রাজ্যের সাধারণ মানুষ।
আর তৃনমূলের সেই কথার সুর ধরেই যেনো এদিন হঠাৎ করেই বিজেপির ডাকা বনধ বেলা একটু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাহারের ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই বনধ প্রত্যাহারের বার্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি শিবিরের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপান-উতর। বিজেপির একটা বড় অংশের বক্তব্য কারও সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই নাকি এই বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু।