দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে,  পরিবারতন্ত্রকে নিশানা মোদীর

স্বাধীনতা দিবসে রঙিন পাগড়ি পরার ট্রেন্ড বজায় রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তেরঙা পাগড়ি পরে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সঙ্গে সাদা কুর্তা এবং নীল জ্যাকেট পরেছেন। এই বিশেষ দিনে সকালে দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন, “সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ!”। বিশ্বের প্রতি  কোণে তেরঙ্গা গর্বের সঙ্গে উড়ছে। নতুন সংকল্প, উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। স্বাধীনতার লড়াই সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে গেছেন যাঁরা আত্মবলিদান করেছেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছে। মহাত্মা গাঁধী, নেতাজি থেকে সাভারকর, প্রত্যেকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। নেহরু থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে আজ প্রণাম করার দিন। এই দেশ মঙ্গল পান্ডে, তাঁতিয়া টোপী, ভগত সিং, সুখদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ, আশফাকুল্লা খান, রাম প্রসাদ বিসমিল এবং আমাদের অগণিত বিপ্লবীদের প্রতি কৃতজ্ঞ যারা ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।’

গত একবছর ধরে আজাদির অমৃত মহোৎসব পালন করা হয়েছে।  স্বাধীনতার ৭৫ বছর থেকে ১০০ বছরের যাত্রাকে অমৃত কাল বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে একথাই বলেন প্রধানমন্ত্রী৷ ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার একশো বছর পূরণ হবে৷ সেকথা মাথায় রেখে এ দিনই পাঁচ সংকল্পের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদীর কথায় যা ‘পাঁচ প্রাণ’৷

প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ৭৫ বছরে দেশের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভারত গণতন্ত্র সবথেকে বড়। এই গণতন্ত্র ৭৫ বছরের যাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তবে প্রমাণ করেছে যে এটির একটি মূল্যবান ক্ষমতা রয়েছে। ‘ তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের প্রচেষ্টা যে দেশের তরুণরা মহাকাশ থেকে সমুদ্রের গভীরতা পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য সমস্ত সহায়তা পায়। সেজন্য আমরা আমাদের মহাকাশ মিশন এবং গভীর মহাসাগরের মিশনকে প্রসারিত করছি। আমাদের ভবিষ্যতের সমাধান সূত্র এখান থেকেই উঠে আসবে।’

আপনাদের উন্নয়নের জন্য এই পরিবারবাদ এবং ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়তে চাই। পরিবারবাদী রাজনীতি পরিবারের ভালোর জন্য হয়। দেশের জন্য নয়। দেশ এবং দেশের সংস্থাগুলোকে বাঁচাতে পরিবারবাদকে নষ্ট করতে হবে। ভারতের রোজগারের ক্ষেত্র ক্রমশ খুলে যাচ্ছে। যুবদের জন্য নয়া ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আমরা বেসরকারি ক্ষেত্রকেও গুরুত্ব দিচ্ছি। সেখানেও কাজের সুযোগ তৈরি হবে। ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে ভারত। লাল বাহাদুর শাস্ত্রিজিকে আমরা মনে করি। তাঁর ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’ মন্ত্র আমরা আজও মনে করি। পরে অটলবিহারী বাজপেয়ীজি এর সঙ্গে   ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান’ যোগ করেছিলেন। এবার অমৃতকালে তাতে যোগ হবে ‘জয় অনুসন্ধান’। অর্থাৎ ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান’।

আরও পড়ুন :

অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘কেষ্ট’র পাশেই ‘দিদি’

স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় নারীদের অবদান

২০২৪-এ কাশ্মীরে বিশ্বের উচ্চতম রেলসেতুতে চলবে ট্রেন?

Related posts

হাজি নুরুল জেতার পর মমতার প্রথম ভিজিট সন্দেশখালি, ঘোষণা বসিরহাটে

নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে ‘ চোর ‘ স্লোগান শুনলেন শুভেন্দু

দেশের ৪৯টি আসনে ভোটের হার ৬০.০৯ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি আসনে ৭৪.৬৫ শতাংশ