ডেস্ক: ভোট পরিবর্ত অশান্তি মামলায় রাজ্যকে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। আজ, শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে একাধিক বিষয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এদিন শুনানির শুরুতে যাদবপুরের ডিসি রশির মুনির খানকে শোকজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদলের সফর ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নেয় যাদবপুর এলাকা। মানবাধিকার কমিশন আদালতে সওয়াল করেছিল, ‘কমিশনের কর্মীরাই যদি আক্রান্ত হন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’
ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে। সেই সব অভিযোগ এক জায়গায় করে রিপোর্ট তৈরি করেছে মানবাধিকার কমিশন। আজ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ওই সব অভিযোগের এফআইআর নিতে হবে পুলিশকে।
আদালতের নির্দেশ, আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। কারও রেশন কার্ড হারিয়ে গিয়ে থাকলে, তাঁদের রেশনেরও ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। এছাড়া মানিকতলায় মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কম্যান্ড হাসপাতাল থেকে সেই ময়নাতদন্ত করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন কাণ্ড: গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য
ভোট পরবর্তী অশান্তি ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের নির্দেশেই তৈরি হয় সাত সদস্যের একটি কমিটি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে সেই কমিটি তৈরি হয়। যাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সরেজমিনে ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ খতিয়ে দেখেন। ইতিমধ্যে আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা দিয়েছে ওই কমিটি। একই সঙ্গে মুখ্যসচিবকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংরক্ষণ করতে হবে।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি নেতারা। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সর্বত্র দরবার করেছে বিজেপি নেতারা। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি করেছেন। দিল্লিতে গিয়ে এই নিয়ে দরবার করেছেন তিনি।