ডেস্ক: ইয়াসের বিধ্বস্ত তিন রাজ্যের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। তবে এই আর্থিক প্যাকেজ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, বরং সাইক্লোন বিধ্বস্ত ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের জন্যও এই আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ওড়িশাকে এখনই ৫০০ কোটি টাকা অর্থসাহায্য কেন্দ্রের পক্ষে করা হলেও বাকি দুই রাজ্যের ক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটা হচ্ছে না। বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই দুই রাজ্যকে দেওয়া হবে বাকি ৫০০ কোটি টাকা।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মোট ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত একটি ফাইলও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার তুলনায় আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ অনেকটাই কম।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা খতিয়ে দেখার জন্য তিনটি রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হবে। সেই দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও আর্থিক সাহায্য করেন। প্রধানমন্ত্রী ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডকে আশ্বাস দিয়েছেন যে এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
ইয়াসের তাণ্ডবে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা, এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে যে এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি পুনর্নিমাণের জন্য যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।
সূত্রের খবর, এলাকা পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, ইয়াসের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওড়িশার বেশিরভাগ এলাকা। এ বাদেও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা এবং ঝাড়খণ্ডের কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ট্যুইটারে লিখেছিলেন, ‘ওড়িশার পরিস্থিতি এসে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। দেশে এই মুহূর্তে ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, তাই এক্ষুণি কোনও আর্থিক সাহায্য চাইনি, আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালাব।’