ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের শেষে রাজ্যে ৭ বিধানসভা আসনে ভোটের সম্ভাবনা। এরমধ্যে ৫ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, ২ কেন্দ্রে ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে। একুশে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বেশ কিছু প্রতিকূলতার কারণে ২৯৪ আসনের নির্বাচন সম্পূর্ণ করা হয়নি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছয় মাসের মধ্যে কোনও একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। কারণ নন্দীগ্রামে এবার তিনি শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান। ফলে সেইসব আসনে ভোটের দাবি জানাচ্ছিল শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূলের সেই দাবি অবশেষে মানত্য পেতে চলেছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও) দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সবমিলিয়ে আগামী সেপ্টম্বরের শেষে রাজ্যে সাত আসনে ভোটের জোরাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভবানীপুর, খড়দা, গোসাবা, শান্তিপুর, দিনহাটা, এই পাঁচ আসনে উপ নির্বাচন ও সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর বিধানসভা আসনে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের, সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বললেন ধনকড়
বাংলায় বিধানসভা ভোটের শেষ লগ্ন থেকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। ফলে স্থগিত হয়ে যাওয়া কেন্দ্রে এবং শূন্য আসনে উপনির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। বাংলায় উপনির্বাচনের পথে এখন বাধা করোনার তৃতীয় ঢেউ। দ্বিতীয় ঢেউ বিদায় নিতে চলেছে। এর ফাঁকেই উপনির্বাচন সেরে নিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন! নির্বাচন কমিশন আগে রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল নির্বাচনের পরিবেশ ও পরিস্থিতি রয়েছে কি না। রাজ্যের জবাবের পর জট কেটে যাওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট ছিল। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিইও দফতরে ফোন করে উপনির্বাচনের খোঁজ খবর নেওয়ায় নির্বাচনী দামামা প্রায় বেজে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।