ভয়াবহ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টার মধ্যেই বাহানাগা দিয়ে ফের শুরু হল ট্রেন চলাচল। তবে যাত্রীবাহী ট্রেন নয়, পরীক্ষামূলক ভাবে মালগাড়ি চালানো হয়েছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন রেলকর্মীরা।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলপথে রেললাইনের অবশিষ্ট কিছু ছিল না বললেই চলে। দুর্ঘটনার জেরে উপড়ে গিয়েছে রেললাইনের একাংশ। আবার কোনও কোনও জায়গায় রেললাইনের উপর পড়েছে ট্রেনের ভাঙাচোরা কামরা। সেগুলি রেলপথ থেকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দুটি মেরামত করা হয়।
রবিবার রাতে ওই রেলপথ দিয়ে ডাউন লাইনে ট্রেনের পরীক্ষামূলক দৌড় (ট্রায়াল রান) শুরু করল রেল। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। এর পর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২টা ৫ মিনিটে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও। মালগাড়ির কামরার উপরে উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন। এই ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।