ডেস্ক: ত্রিপুরার মানুষ কী চায়, কী চায় না এরা বুঝতে চায় না। উত্তর ভারতের যে নেতারা বলে দেবে সেটাই করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস সবে পা রেখেছে। আমি এখানে আসার আগে আইপ্যাকের ২৩ কর্মীকে নজরবন্দি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস পা রাখেনি তাতেই এত হতাশা, এত জ্বালা। আইপ্যাক কর্মীরা সমীক্ষা করছে। তাদের গৃহবন্দি করে দেওয়া হয়েছে। হোটেলের ম্যানেজারকে ধমকাচ্ছে। আপনার চমকানি, ধমকানি চলবে না। যত চমকাবেন ত্রিপুরার মানুষ তত গর্জাবে। ত্রিপুরায় সাংবাদিক সম্মেলনে এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে আক্রমণ শানালেন অভিষেক।
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়ে এদিনই প্রথম ভিনরাজ্যে পা রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু ত্রিপুরায় তাঁর পা রাখার পর থেকেই শুরু হয় চরম বিরোধিতা। সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, মায়ের কাছে পুজো দিয়ে ত্রিপুরা কর্মসূচি করতে চেয়েছিলাম। শুধু ত্রিপুরায় নয়, সারা ভারতবর্ষে প্রসিদ্ধ মা ত্রিপুরেশ্বরী। সেই মায়ের পুজো দিতে পর্যন্ত বাধা দেওয়া হয়েছে আমাকে। বিজেপি হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক বলে নিজেদের দাবি করে৷ সেই বিজেপি আমায় পুজো দিতে বাধা দেওয়ার কোনও কসুর ছাড়েনি।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের যত তাতাবে, তত শক্তিশালী হবে তৃণমূল। ত্রিপুরার মানুষকে স্বাধীন করতে দৃঢ়ভাবে এগোবে তৃণমূল। মানুষ হাত নেড়ে, দোকান থেকে এসে আশীর্বাদ করেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্য রাজ্যে পা রেখেছি। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের নিদারুণ উদাহরণ সবাই দেখতে পেয়েছে। একজন সাংসদের ওপর এ ধরনের আক্রমণ বিজেপির গুণ্ডারা করেছে। তাহলে সাধারণ মানুষ, ত্রিপুরায় নারী নিরাপত্তা কোথায় ? ত্রিপুরার পুলিশ নিষ্ক্রিয়। পুলিশকে সরকারের নির্দেশ পালন করতে হয়, পুলিশকে দোষারোপ করব না’।
আরও পড়ুন: আইন পাশ নাকি পাপড়িচাট, মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ ডেরেকের
বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, আজকের তারিখটা লিখে রাখুন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল। তৃণমূল যখন ত্রিপুরায় পা দিয়েছে, সরকার গড়েই ত্রিপুরা ছাড়বে। ত্রিপুরার মানুষকে মুক্তি দিতেই তাঁর এখানে আসা।
আমি এখানে সরকার ভাঙতে আসেনি। আমরা পা রেখে ত্রিপুরার হৃত গৌরবকে পুনরুদ্ধার করতে। ত্রিপুরায় আগামী দিনে দুয়ারে গুন্ডা নয় দুয়ারে সরকার পৌঁছবে। কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করব। ন্যূনতম আয়ের প্রকল্প আনতে পারি তাই পা রেখেছি। ত্রিপুরায় তো তৃণমূলের অস্তিত্বই নেই তাহলে বিচলিত হচ্ছেন কেন? ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ন্যূনতম বিবেকবোধ থাকে, তিনি তো রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাংসদের উপরে হামলা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে?
বহিরাগত নেতারা বাংলায় গিয়ে গলা ফাটায় যে গণতন্ত্র নেই। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর একটা ঘটনা দেখাতে পারবেন, সিপিএমের কোনও নেতার উপরে শাবল, বাঁশ, লাঠি দিয়ে হামলা হয়েছে। আপনারা শুনে রাখুন দায়িত্বের সঙ্গে বলছি, ৩৩৪৪টা বুথে তৃণমূলের সংগঠন হবে। ১৫ দিনের মধ্যে আবার আসব। এসে রাজ্যে সংগঠন ঘোষণা করব। বিপ্লববাবুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, ক্ষমতা থাকলে আটকান।