কলকাতা: ডাক্তারিতে ভর্তির সর্ব ভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট নিয়ে শোরগোল গোটা দেশ জুড়ে। অনিয়ম যে হয়েছে সেটা প্রমাণিত সুপ্রিম কোর্টে। গ্রেস মার্ক বাতিল করে ১৬৬৩ জনের আবারও পরীক্ষা নিচ্ছে পরীক্ষক সংস্থা এনটিএ। সেই ইস্যুতেই এ বার সরব হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যে জয়েন্ট পরীক্ষায় মেডিক্যাল অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজ্য বোর্ডের পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যেত। কিন্তু ২০১৩ সালে সেই পরীক্ষা হয়নি। ২০১৪-১৫ সালে বিতর্কের জল গোড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে সর্ব ভারতীয় পরীক্ষার মাধ্যমেই ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়া যায়।
কিন্তু নিট পরীক্ষা নিয়ে এ বার অভিযোগের পাহাড় জমেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে আবারও রাজ্য জয়েন্ট মেডিক্যাল ফিরিয়ে আনার দাবি। তবে a ব্যাপারে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, তাই ‘ বিশেষ ‘ কোনো কারণ ছাড়া পুরনো নিয়ম ফেরানো কার্যত অসম্ভব।
এ ব্যাপারে ব্রাত্য বসু বলেন, “এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। হাজার-হাজার পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হল। অনেক টক শো হল। তদন্ত হল। গ্রেফতারও হল। কিন্তু কেন্দ্রের এই নিট যা সারা ভারতের ক্ষেত্রে খুব সম্মানের পরীক্ষা সেটার ক্ষেত্রে যা হল গোটা ভারত দেখছে। তার জন্য কোনও তদন্ত হবে না? সিবিআই ইডি মাঠে নামবে না? এই ব্যর্থতার পর আমার মনে হয় ওদেরই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।”