ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় নন্দীগ্রামের সভায় অভিষেক বলেন, ‘৩ ঘণ্টা ঘরে ইস্তাহার নিয়ে বক্তব্য রাখলেন। অথচ একটা লাইন বাংলায় বলতে পারছে না। বাংলা জানে না। বাংলা লিখতে পারে না। নিজের নামটা বাংলায় লিখতে পারে না। তাঁরা বলছে, সোনার বাংলা করবে।’
বিজেপির বিরুদ্ধে অভিষেকের তীব্র কটাক্ষ, ‘পশ্চিমবঙ্গের লোকসংখ্যা ১০ কোটি। বিজেপি চেয়েছিল, আয়ুষ্মান ভারত দিতে চেয়েছিল ১ কোটি লোককে। আমি যদি মিথ্যে কথা বলি, আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করে জেলে ঢোকাবেন। কিন্তু মমতা বলেছেন, যাঁরা আমাকে ভোট দেননি তাঁদের জন্যও স্বাস্থ্যসাথী করব। মমতার উন্নয়ন সবার জন্য। তাঁর একটাই ধর্ম মানবধর্ম। আরে শুধু বাস-ট্রামে নয়, ক্ষমতা থাকলে মহিলাদের জন্য পারলে ভারতীয় রেল ফ্রি করে দিন।’
প্রথম থেকেই নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ শুরু করেন অভিষেক। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘৬ কোটি টাকার গাড়ি চড়েন আর কৃষকদের ৬ হাজার টাকা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টালির চালে থাকেন, হাওয়াই চটি পরেন আর কৃষকদের ১০ হাজার টাকা দেন। কাকে ভোট দেবেন?’
এর পাশাপাশি নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর মন্তব্য,’নেত্রী মায়ের সমান। তাঁর সঙ্গে বেইমানি করেছ, ভগবানও ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন: সব ভোটকেন্দ্র এক তলায়, ভোটের দায়িত্বে থাকবে না সিভিক, গ্রিন পুলিশ: কমিশন
অভিষেকের দাবি, ‘দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, দুয়ারে সরকার ভাঁওতা, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নাকি জুমলা। তার পর দিলীপ ঘোষের পরিবার নিজেরাই গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছে। তখন বলছে তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ। এই তো বিজেপির কথা। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কেউ করে দেখাতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা পৃথিবীকে এই যুগান্তকারী কাজ করে দেখিয়েছেন। এটা নারী ক্ষমতায়নের প্রতীক।’
বিগত ১০ বছরে যা হয়েছে তা ট্রেলার। আগামী ৫ বছরে উন্নয়ন সারা ভারত দেখবে। তৃণমূলের ইশতাহার হাই কোয়ালিটির ডিভিডি। বিজেপির ভাঙা ক্যাসেট।’
নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন,’ধর্মের উস্কানি দিয়ে মাটিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে। মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেছে। নেত্রী মায়ের সমান। তাঁর সঙ্গে বেইমানি করেছ, ভগবানও ক্ষমা করবে না। যা করার করে নাও জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।