কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে বুধবার (১০ জুলাই)। ফলাফল আগামীকাল, শনিবার। এই চার কেন্দ্রের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবমহলই। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ফলাফলে এরমধ্যে তিনটি দখলে রেখেছিল বিজেপি, একটিতে তৃণমূল। এ বার কি কোনো হেরফের হতে চলেছে?
মানিকতলা, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং রায়গঞ্জে উপনির্বাচন হয়েছে বুধবার। এই চার কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতেই উপনির্বাচন হয়েছে বিধায়কেরা দলবদল করায়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, রায়গঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাগদা কেন্দ্রে জয়ী বিশ্বজিৎ দাস এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী কৃষ্ণ কল্যাণী পরে তৃণমূলে যোগ দেন। পদ্মপ্রার্থী হিসাবে রানাঘাটে জয়ী হওয়া মুকুটমণি অধিকারী লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। এই তিন জনকেই লোকসভায় প্রার্থী করে তৃণমূল। বিশ্বজিৎ বনগাঁ, কৃষ্ণ রায়গঞ্জ এবং মুকুটমণি রানাঘাট কেন্দ্রে জোড়াফুলের প্রার্থী হন। বিধায়ক পদ থেকেও তাঁরা ইস্তফা দেন। তিন জনেই সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন।
মানিকতলার ক্ষেত্রে উপনির্বাচনের কারণ কিছুটা আলাদা। ২০২১ সালে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল জিতেছিল। বিধায়ক হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। ২০২২ সালে তাঁর মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন আইনি জটিলতায় মানিকতলায় উপনির্বাচন হয়নি। কিছু দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উপনির্বাচন হল।
এই উপনির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে মুকুটমণি অধিকারী। মানিকতলা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। বাগদা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। অন্য দিকে, মানিকতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন কল্যাণ চৌবে ভট্টাচার্য, বাগদার প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাস, রানাঘাট দক্ষিণে প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস এবং রায়গঞ্জের প্রার্থী মানস কুমার ঘোষ।
সদ্য হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বিধানসভা উপনির্বাচনে তাদের ফল ভাল হবে বলেই মনে করছে শাসক দল। হাতে থাকা মানিকতলার পাশাপাশি বাকি তিন আসন নিয়েও আশাবাদী তারা। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, গা-জোয়ারির কারণেই তাদের দখলে থাকা তিন আসনে তৃণমূল ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারে। সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে আগামীকাল!