ডেস্ক: বুধবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্লাব প্রাঙ্গন। সমর্থনকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্লাবকর্তাদের বিরোধী গোষ্ঠীরা এদিন রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস হাতে লাঠিও তুলে নেয়। একজন সমর্থকের মাথাও ফাটে।
দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছেন ক্লাবেরই সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গলের শাসক দলের সমর্থক যারা তারা রয়েছে এক দলে। অপর দলে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলরে শাসক দলের বিরোধীরা। এই লড়াই লাল-হলুদ শিবিরে চিরকাল এক দাগ তৈরি করে রাখল।
সমর্থকদের দু’দলে ভাগ হয়ে এই লড়াই দেখার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্তা সন্তোষ ভট্টাচার্যের (বাবু) বক্তব্য কিন্তু বেশ পরিস্কার। এই বিষয়ে তিনি বলছেন, “এই রকম একটা ঘটনা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য একটা খারাপ বিজ্ঞাপণের ছবি। কারণ, ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে মারামারি করছে, যেটা একটা ক্লাবের পক্ষে খুব খারাপ বিজ্ঞাপণ বলেই আমি মনে করি।”
আরও পড়ুন: অলিম্পিক্স ভিলেজে প্রথম কোভিড পজিটিভের খোঁজ মিলল
শ্রী সিমেন্টের পাঠানো সর্বশেষ সংশোধিত চুক্তিপত্রে সই করবে না বলেই গত শুক্রবার কার্যসমিতি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে লাল-হলুদ। এর ফলে আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার যাবতীয় সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে। শ্রী সিমেন্ট স্পোর্টিং রাইটস না ফেরালে ইস্টবেঙ্গল শুধু আইএসএলই নয়, কোনও ফুটবল টুর্নামেন্টেই অংশ নিতে পারবে না। এমনকী কলকাতা লিগ বা ডুরান্ডেও খেলা হবে না তাদের। এরপর থেকেই সমর্থকদের ভিতরে জ্বলতে থাকে ক্ষোভের আগুন।