প্রথমার্ধে মাঠ দাপাল আর্জেন্তিনা। বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে লিওনেল মেসিরা। মনে হচ্ছিল বড্ড একপেশে ফাইনাল। কিন্তু শেষ প্রান্তে এসে মাতিয়ে দিলেন এমবাপে। দু’মিনিটে দু’টি গোল করে সমতা ফিরিয়ে দিলেন ফ্রান্সকে।
রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ জুড়ে মাঠের কৌশলের দিক থেকে ফ্রান্সের চেয়ে একধাপ এগিয়ে আর্জেন্তিনা। দুর্দান্ত সচেতন খেলা। বিরতির আগে পেনাল্টিতে মেসি এবং দি মারিয়ার গোলে আর্জেন্তিনা এগিয়ে গেল ২-০ গোলে। তৃতীয় গোলের সন্ধানে চলল একের পর হানা। এরই মধ্যে পেনাল্টিতে গোল এমবাপ্পের। পরের মিনিটেই অনবদ্য শটে গোল করলেন তিনি। এর পরই গতবারের চ্যাম্পিয়নরা শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন দলের মতো খেলায় ফিরল। একের পর আক্রমণে কার্যত মেসিকে পিছনে ফেলে দিলেন এমবাপেরা।
আক্রমণ, প্রতিআক্রমণে শেষ নিয়মিত সময়ের খেলা। ফলাফল ২-২ রয়ে যাওয়ায় খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। আরও ৩০ মিনিট। দুই দলই বিজয়ী গোলের সন্ধানে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্তিনাকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দিলেন এমএল টেন। ১০৮ মিনিটে হুগো লরিস তাঁর প্রথম শট বাঁচিয়েছিলেন, কিন্তু এ বার আর রক্ষা করতে পারলেন না। তবে এই ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী হল না। অতিরিক্ত সময়ে পিছিয়ে গিয়েও সমতা ফেরাল ফ্রান্স। ১১৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন এমবাপে। হ্যাটট্রিকও করে ফেললেন তিনি। অতিরিক্ত সময় শেষেও ম্যাচের ফলাফল রয়ে গেল ৩-৩।
টাইব্রেকারে হল ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ। ফ্রান্সের হয়ে প্রথম পেনাল্টিতে গোল করলেন এমবাপে। কোমানের দ্বিতীয় শট বাঁচালেন মার্তিনেজ। আর তৃতীয় শট পোস্টের বাইরে মারলেন চুয়ামেনি। চতুর্থ শটে গোল করলেন কোলো মুয়ানি। আর্জেন্তিনার হয়ে প্রথম শটে গোল করলেন মেসি। দ্বিতীয় শটেও গোল ডিবালার। তৃতীয় এবং চতুর্থ শটেও গোল করলেন যথাক্রমে পেরেদ্দেস এবং মন্তেল। ৪-২ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জিতে বিশ্বকাপ নিয়ে গেল আর্জেন্তিনা।