ইন্দো-চাইনিজ রেসিপি বা জিভে জল আনা কন্টিনেন্টালে ভিনেগারের কদরই আলাদা। এই ভিনেগারের আবার রয়েছে রকমফের। যেমন, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। পেটের সমস্যা দূর করার জন্য একেবারে যথাযথ এই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এই টোটকা।
কিন্তু, জানেন কী শুধু আপনার পেটের স্বাস্থ্য উদ্ধারই নয়, ওজন হ্রাস করতেও সিদ্ধহস্ত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার! শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমানো সহ বহু উপকার করে অ্যাপেল সিডার।
ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাজিকের মতো। শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পর ভিনেগার খেলে দিনের পরবর্তী সময়ে সহজে খিদে পায় না। অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে পেট। অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া বা ওবেসিটিতে আক্রান্ত ১৭৫ জনকে নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে, রোজ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অভ্যাস ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কমে পেটের মেদ। তবে অবশ্যই খাবার গ্রহণের পরিমাণও কমাতে হবে, শুধু ভিনেগারই ওজন কমাবে না। অর্থাৎ পরিমিত সুষম আহার আর এই উপকারী পানীয়টি গ্রহণ করলেই, ওজন কমবে ম্যাজিকের মতো। নাছোড় মেদ হয়ে যাবে হাওয়া। তবে হ্যাঁ, কিভাবে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাবেন, আর কতটা পরিমাণে খাবেন, সেটা অবশ্যই জানতে হবে। অনুপাতে ভুল হলেই, হিতে বিপরীত!
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
কার্যকরী ফল পেতে দিনে দুবার অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একবার। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আরও একবার।
জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। যেমন, এক গ্লাস জলে ১/২ টেবিলচামচ (৫-১০ মিলিলিটার) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন : নিয়মিত খান বিটের জুস, জেনে নিন ১০টি উপকারিতা