প্রথম পাতা জীবনযাপন আদরের জামাইকে রসনায়তৃপ্তি দিয়ে পাতে পড়বে ইলিশ

আদরের জামাইকে রসনায়তৃপ্তি দিয়ে পাতে পড়বে ইলিশ

133 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: বছরের পর বছর ধরে শাশুড়িরা জামাইকে তুষ্ট করার হরেক আয়োজন করে আসছেন।  বট-করমচার ডাল পুঁতে প্রতীকী অর্ঘ্য স্থাপন করে শাশুড়িরা প্রদীপ জ্বালিয়ে, হাতপাখায় জামাইকে বাতাস করে নানা ধরনের ফল ও মিষ্টি সহযোগে বরণ করেন। সঙ্গে থাকে দুপুরে খাওয়াদাওয়ার হরেক আয়োজনও মেয়ে-জামাইয়ের মঙ্গল কামনাতেই জ্যৈষ্ঠের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে শাশুড়িরা যে বিশেষ ষষ্ঠীর পুজো করেন সেটাই ‘জামাইষষ্ঠী’ নামে পরিচিত।

কর্মব্যস্ততার প্রভাবে বদলাচ্ছে জামাইষষ্ঠীর তাৎপর্য ও উদ্‌যাপন। রান্নাবান্নার হাজারো হ্যাপা এড়াতে এখানে অনেকেরই ভরসা নামী হোটেল রেস্তোরাঁর নানা পদ। আজও বেশ কিছু বনেদি পরিবারে অতীতের রীতি মেনে হয় জামাইষষ্ঠী। সেখানে সময় যেন থমকে গিয়েছে ঐতিহ্য আর আভিজাত্যের সামনে। 

লকডাউন পরিস্থিতিতে জামাই ষষ্ঠী। বাজারে ভিড় কম। ইলিশ থেকে চিংড়ি, ভেটকি থেকে পমফ্রেট – সবই রয়েছে। সাজানো রয়েছে নানারকম ফল। বিক্রেতারা ক্রেতার অপেক্ষায় থাকলেও, ক্রেতার সংখ্যা হাতে গোনা। মাছ থেকে শুরু করে ফল, সবকিছুর দামই চড়া।

আরও পড়ুন: তেলে চুল তাজা, গাজরে রূপ তাজা

৬১ দিন পর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আগামীকাল। শেষ বেলার প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে মৎস্যজীবীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন বন্দর গুলিতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে মৎস্যজীবীদের। বিগত বছরগুলোতে তেমন একটা লাভের মুখ দেখেনি মৎস্যজীবীরা এবছর রুপালি শস্যের খোঁজে গভীর সমুদ্রে আবারও তরী ভাসাতে চলেছে মৎস্যজীবীরা। বেড়েছে জ্বালানির দাম পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ পরিবারের হাড়ি  শিখে উঠেছে মৎস্যজীবীদের। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল ইলিশের খোঁজে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েক হাজার ট্রলার। আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যে ভোজন রসিক বাঙালি দের রসনা তৃপ্তিতে রুপালি শস্যের চাহিদা মিটাতে পাড়বে মৎস্যজীবীরা।

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪পরগনার ডায়মন্ড হারবার,কাকদ্বীপ ,নামখানা বকখালি,রায়দিঘি, সাগর, গোসাবা ,কুলতলীর বিভিন্ন বন্দর গুলিতে মৎস্যজীবীদের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ বেলার প্রস্তুতি সেরে নিতে দেখা যাচ্ছে।  ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বন্দর গুলিতে ভিড় জমিয়েছে মৎস্যজীবীরা চলছে শেষ বেলার প্রস্তুতি।

আরও পড়ুন: নববর্ষের কথা মাথায় রেখে শহরে লঞ্চ হয়ে গেল ফেস্টিভ কালেকশন ২০২১

দীর্ঘ দু’মাসের ‘বন্ধ’ কাটিয়ে মৎস্যজীবীরা ফের সমুদ্রমুখী হবেন ১৫ তারিখ থেকে। আর ১৬ জুন হল জামাই ষষ্ঠী। ফলে, ওই দিন টাটকা ইলিশ বাজারে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই। কিন্তু আদরের জামাইদের রসনাতৃপ্তিতে ইলিশ মাছের নানা পদের চাহিদা বরাবরের। করোনা আবহে সে চাহিদা কিছুটা কমলেও ইলিশের কদর থাকবেই। আর সে ক্ষেত্রেই সহায় হতে চলেছে ওড়িশার ইলিশ।

জানা যাচ্ছে, কার্যত লকডাউনের বিধি-নিষেধের মধ্যেই ‘চোরাপথে’ ওড়িশা থেকে বেশ কিছু পরিমাণ ইলিশ মাছ এ রাজ্যের উপকূল এলাকায় ঢুকেছে। শুক্রবার নিউ দিঘায় এক ব্যবসায়ীর আড়তে যথেষ্ট ইলিশ মাছ দেখা গিয়েছে। এক-একটি মাছের গড় ওজন ৩০০-৫০০ গ্রাম। কোনও কোনওটি আবার বেশ বড়— প্রায় দেড় কেজির। ওই মাছ ব্যবসায়ী বলছেন, “৩০০ গ্রামের ইলিশ ৩০০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।” 

ছবি : দেবাশিস দেব।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদকের পছন্দ

টাটকা খবর

©2023 newsonly24. All rights reserved.