ওয়েবডেস্ক : বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গা আলোকিত করার কাজে হাত দিতে চলেছে পুরসভা। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
ওই টাকা দিয়ে ৪১টি ওয়ার্ডে আলো বসানোর কাজ হবে।
আমফানের সময়ে বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসংখ্য বাতিস্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সল্টলেক থেকে কেষ্টপুর, বাগুইআটি, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বহু অংশে রাস্তা, গলি এবং উদ্যান এলাকায় পর্যাপ্ত আলো ছিল না।
পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, অনেক জায়গায় হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভও রয়েছে। পরে এলইডি আলো লাগানোর চিন্তাভাবনা করা হয়।
আরও পড়ুন : ই-স্কুটারে নবান্নে পৌঁছেই মোদীকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
অর্থের সমস্যা-সহ বেশ কিছু জটিলতায় কাজ আটকে গিয়েছিল। পাশাপাশি করোনা অতিমারির জেরেও কাজ থমকে যায়। অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় এখন প্রতিটি ওয়ার্ডে সেই সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে।
ওয়েবেলকে এই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে। সাত বছর ধরে তারাই আলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরসভার বোর্ড গঠনের পরে আলোকায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রকল্প ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি।
এর পরে তৎকালীন মেয়র সব্যসাচী দত্ত ইস্তফা দেন। পরে মেয়র পদে আসীন হয়ে কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও আলো বসানোর চেষ্টা করছে পুরসভা।
এর জন্য একটি খসড়া প্রস্তাবও জমা দেওয়া হয় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। সম্প্রতি সেই প্রকল্পেই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিধাননগর পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণাদেবী জানান, ‘‘পুরসভা পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। একটি বড় প্রকল্প করতে গেলে কিছুটা সময় লাগে।
তার উপরে করোনার জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়। আমপানে বহু বাতিস্তম্ভের ক্ষতি হয়েছিল। তাই কিছুটা সময় লেগেছে। দ্রুত বিভিন্ন এলাকায় আরও আলো বসানোর কাজ শুরু হবে।’’