বাজেট অধিবেশনের আগে আজ সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: বুধবার শুরু বাজেট অধিবেশন। তার আগে মঙ্গলবার সংসদে বিভিন্ন দলের নেতাদের বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রতিটি অধিবেশনের আগে এটি একটি প্রথাগত কর্মসূচি। কারণ বিভিন্ন দলের নেতারা সংসদে যে বিষয়গুলি উত্থাপন করতে চান, সেগুলি এই বৈঠকে তুলে ধরেন। সরকার নিজের এজেন্ডার একটি আভাস দেয় এবং তাদের সহযোগিতা চায়।

প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু হবে। যদিও এটি একটি সংক্ষিপ্ত অধিবেশন হবে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ভোটের পর নতুন সরকার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সমাজের দরিদ্র অংশগুলির সম্মুখীন হওয়া সমস্যাগুলির উপর ফোকাস করতে পারে মোদী সরকার। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলেই অনুমান। সূত্রের মতে, চলতি অর্থবছরে আয়কর এবং কর্পোরেট কর থেকে সংগ্রহ বেশ আশাব্যঞ্জক। মোট প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বাজেটের অনুমান ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকার এই অর্থবছরে প্রত্যক্ষ কর থেকে ১৮.২৩ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের বাজেট করেছিল। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত, প্রাথমিক হিসাব বলছে, তা দাঁড়িয়েছে ১৪.৭০ লক্ষ কোটি টাকায়। যা বাজেট অনুমানের প্রায় ৮১ শতাংশ। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় জিএসটি রাজস্ব প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার বাজেট অনুমান ৮.১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অনুমান অনুসারে, এই অর্থবছরে আবগারি ও শুল্ক আদায়ে প্রায় ৪৯,০০০ কোটি টাকার ঘাটতি হবে।

সবমিলিয়ে কর আদায়ে এই ইতিবাচক তথ্য সরকারকে বেশ কিছু খাতে তহবিল বরাদ্দ বাড়াতে উৎসাহিত করতে পারে। বিশেষ করে, MGNREGA, গ্রামীণ রাস্তা, পিএম কিসান সম্মান নিধি, পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার মতো সামাজিক খাতের প্রকল্পগুলির জন্য আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করার সুযোগ করে দিয়েছে।

Related posts

পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা? নেপথ্যে শুভেন্দু?সন্দেশখালি স্টিং ভিডিও নিয়ে তোলপাড় রাজ্য

তাপপ্রবাহের বিদায় নেওয়ার পালা, এ বার কালবৈশাখীর বিশেষ সতর্কতা

বিদ্যুতের মাশুল কি সত্যিই বেড়েছে? না কি রাজ্য সরকারের ‘বদনাম’ করতে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো চর্চা!