প্রায় দু’দিন পর ব্যারাকপুর শ্যুটআউটকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি। পুলিশের জালে এক অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতীর নাম সানি, তার বাড়ি কামারহাটিতে। হাওড়া থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিয়ে আসা হয়েছে টিটাগড়ে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাকি তিন অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের তিন দুষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সানির। সোনার দোকান রেইকি করেছিল সানি, খবর সূত্রের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় দুই মোটরবাইক। হাওড়া ব্রিজ থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ডানলপের দিকে গিয়েছিল দু’টি মোটরবাইক। দুই মোটরবাইকে দু’জন ছিল।
উল্লেখ্য, ব্যারাকপুরের ১৪ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ওল্ড ক্যালকাটা রোডের ধারেই রয়েছে সিংহ জুয়েলার্স। বুধবার সোনার দোকানে ছিলেন মালিক নীলরতন সিনহা, তাঁর ছেলে নীলাদ্রি এবং অন্যান্য কর্মচারীরা। স্থানীয়রা জানান, সন্ধে ৬টা নাগাদ দু’টি বাইকে করে চারজন এসে দোকানে ঢোকে। তাদের মুখে মাস্ক পরা ছিল। সেই সময় দোকানে অন্য কোনও ক্রেতা ছিল না বলেই খবর। ক্রেতা সেজে তারা প্রথমে সোনার দরদাম শুরু করে। অভিযোগ, তাদের মধ্যে একজন আচমকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সোনার গয়না দিয়ে দিতে বলে। দোকানের মালিক রাজি না হলে এক দুষ্কৃতী জোর করে সোনার গয়না বের করার চেষ্টা করে। তখন মালিকের ছেলে নীলাদ্রি বাধা দিলে আরেক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁর কাঁধে বুকে কয়েকটি গুলি লাগে।
প্রাথমিক ভাবে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় খুন বলে মনে করা হলেও, এখন এর পিছনে অন্য কোনো কারণ লুকিয়ে রয়েছে কিনা তারও তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। মাত্র এক মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের মধ্যে গোটা অপারেশনটি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই সংক্ষিপ্ত সময়সীমা থেকেই সূত্র পেতে চাইছিলেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে হেলমেট ও মাস্কে মুখ ঢাকা থাকলেও মোটরবাইকে আসা দুষ্কৃতীদের চেনা যাচ্ছিল। লাগাতার তল্লাশি অভিযানে অবশেষে সাফল্য মিলল। সানিকে জেরা করেই বাকিদের নাগাল পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।