ডেস্ক: একুশের বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু ৭৭ এ থেমে যায় বিজেপির রথ। অচিরেই ভঙ্গ হয় বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ গড়ার স্বপ্ন।তবে হারের কারণ বিশ্লেষণ করতে দেখা যায়নি কোনও নেতা, যেরকম এদিন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, আত্মতুষ্টির কারণেই হেরেছে বিজেপি।
এদিন চণ্ডীপুরে বিজেপির এক সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখেন বিধানসভার বিরোধী নেতা। সেখানে বিজেপির হারের কারণ উল্লেখ করতে শোনা যায় তাঁকে। সভায় তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা আত্নতুষ্টিতে ভুগেছেন। সেই জন্যই ভোটে হার। নিজেরাই দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেন, “অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন রাজ্যে ২৯৪ এর মধ্যে ১৭০-১৮০ সিট পেয়ে যাব, খেজুরি নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, নন্দকুমার জিতে যাব, চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। এই আত্মতুষ্টির কারণেই আমাদের পরাজয় ঘটেছে।”শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দলের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৭০ থেকে ১৮০ টি আসন বিজেপি পাচ্ছেই। আর পূর্ব মেদিনীপুরের মধ্যে খেজুরি, ভগবানপুর, নন্দকুমার, নন্দীগ্রামে জয় হচ্ছেই। তাই চণ্ডীপুরে হারলে কোনও ক্ষতি নেই। এমনই আত্মতুষ্টি তৈরি হয়েছিল নেতা ও কর্মীদের মধ্যে। সেই কারণেই পরাজয়। এদিন সভাগুলিতে দলীয় কর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: বাদল অধিবেশনের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন সোনিয়া, নতুন সংসদীয় কমিটিতে বিদ্রোহীরাও
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পরেই অবশ্য তাঁকে কটাক্ষ করেছেন, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা দলে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়ে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।