ডেস্ক: আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভার বাদল অধিবেশন।এমনিতেই এখন করোনা পরিস্থিতি, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের ওপর আরও চাপ বাড়াবেন বিরোধীরা। বাদল অধিবেশনকে মাথায় রেখেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিলেন সোনিয়া গান্ধী। বিদ্রোহী নেতানেত্রী মাত্র কয়েকমাস আগেই একটি চিঠি লিখে কংগ্রেসের অন্দরে শোড়গোল ফেলে দিয়েছিলেন, শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে একপ্রকার গান্ধীদের নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন, এখন কিনা তাঁদেরই দলের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে বসাতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে কংগ্রেসের। এর মাঝেই বহু রাজ্য হাতছাড়াও হয়েছে তাঁদের। দলের অন্দরেও দেখা গিয়েছে মনোমালিন্য। তবে মতপার্থক্যকে দূরে সরিয়ে এবার সংসদীয় কমিটিতে ‘জি-২৩’ তথা বিদ্রোহী নেতাদেরও স্থান দিলেন সোনিয়া। সোনিয়ার নির্দেশে লোকসভা থেকে গঠিত কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন মণীশ তিওয়ারি, শশী থারুরের মতো বিদ্রোহী শিবিরের নেতারা। নতুন কমিটিতে তেমন বড় চমক না থাকলেও দলের লোকসভার দলনেতা পদে বহাল রাখা হয়েছে অধীর চৌধুরীকেই । অসমের গৌরব গগৈ আগের মতোই থাকছেন কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদদের উপনেতা। লোকসভায় দলের চিফ হুইপ থাকছেন কেরলের কে সুরেশ। দলের হুইপ পদে বহাল থাকছেন রবনীত সিং বিট্টু এবং মানিকম ঠাকুর।
আরও পড়ুন: ‘৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছেন মোদী’, রাজ্যকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
সোনিয়া গান্ধীর তরফ একটি লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংসদে দলের কার্যকারিতা আরও মসৃণ করার জন্যই এই রদবদল। বাদল অধিবেশন চলাকালীন এই সংসদীয় দল বারংবার নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখবে। আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সরকার বিরোধিতার রণকৌশল স্থির করবে। এর ফলে দল লোকসভা, রাজ্যসভা দুই কক্ষেই বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারবে বলে আমার ধারণা। যে কোনও সংসদীয় কাজে এই দল প্রতিদিন বৈঠকে বসবে এবং একত্রে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি আরও জানান, অন্যান্য দলের সঙ্গে সমঝোতা থেকে শুরু করে কোনও বিলের সমর্থন-বিরোধিতা কিংবা আংশিক সমর্থন ইত্যাদি সহ একাধিক সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটিই।