কলকাতা: আগামী মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে রাজ্যে নতুন করে গেরুয়া জোয়ার আনার কথা বলছেন বিজেপি নেতারা। পাল্টা তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে নবান্ন অভিযানে বিজেপি-র বিপুল খরচ নিয়ে।
নবান্ন অভিযানে মোট সাতটি ট্রেন ভাড়া করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য এ ভাবে বিপুল টাকা খরচ করে ট্রেন ভাড়া করে নেওয়ার ঘটনা বাংলার রাজনীতিতে এর আগে সে ভাবে দেখা যায়নি। তৃণমূলের মুখপত্রে দাবি, সাতটি ট্রেন ভাড়া করতে বিজেপি খরচ করেছে ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।
এ ছাড়াও বাস, ট্রাক, ম্যাটাডর, গাড়ির খরচ আরও প্রায় ২ কোটি টাকা। খাওয়া, ব্যানার, পোস্টার-ব্যানার, ফেস্টুন থেকে শুরু করে সাদা পোশাকে থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলিয়ে ১১ কোটি টাকা খরচের হিসাব দেখানো হয়েছে জাগোবাংলার প্রতিবেদনে।
একই সঙ্গে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, “লোক হবে না বুঝে যাওয়ার পর জেলায় জেলায় টাকা বিলিয়েছেন বিজেপি নেতারা। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, গ্রাম থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের হাতে দিতে হবে ১,২০০ টাকা। শহরতলির লোকজনকে ১,৮০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ৬৬ লক্ষ টাকা”।
কিছুদিন আগে বৈদিক ভিলেজে হয়ে যাওয়া বিজেপি-র প্রশিক্ষণ শিবিরের খরচ ছিল ৩ কোটি টাকা। কয়েক দিনের ব্যবধানেই আবার ১১ কোটি টাকা খরচ করে নবান্ন অভিযান। কোথা থেকে আসছে এত টাকা? তৃণমূলের মুখপত্রে এই প্রশ্নই করা হয়েছে।
অভিযোগ, প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে চলছে অভিযান। অথচ মাত্র দু’টি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এট টাকা খরচ হলেও কেন খোঁজ নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। কোথা থেকে আসছে এত টাকা, সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের মুখপত্রে।
প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “রাজ্যে কোনো কিছু ঘটলেই তারস্বরে চিৎকার জুড়ে দেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু দলীয় কর্মসূচির নামে ১৫ দিনে ১৫ কোটি টাকা খরচে করছে তারা। প্রশ্ন হল, এই অর্থ কোথা থেকে আসছে? সব কি ট্যাক্স দেওয়া? না কি জিএসটি দেওয়া হচ্ছে। এই হিসেব কে পেশ করবে”?
আরও পড়ুন: রেড-রেড করে বাংলার ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে, আশঙ্কা ফিরহাদ হাকিমের