যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে সেমিনার বা মিটিং করা যাবে না।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় জেনেও কেন কোনও রাজনৈতিক নেতা সেখানে যাওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন, তা স্পষ্ট নয়।
রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, যাদবপুরে “গুণ্ডারাজ” চলছে, বহু শ্লীলতাহানির অভিযোগ ও এফআইআর হয়েছে, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেন বেসরকারি নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করছে, যখন তাদের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই? কেন রাজ্য পুলিশের সাহায্য চাওয়া হচ্ছে না? বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী জানান, উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে অর্থ বরাদ্দের জন্য।
আদালত নির্দেশ দেয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, যাঁরা ছাত্র নন, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিশ্ববিদ্যালয় সফরের সময় বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগের পর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতেই আদালত কঠোর নির্দেশ জারি করল।