নয়াদিল্লি: তদন্তের নামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্তা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুক্রবার কয়লা পাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আইনজীবীদের যুক্তি শোনার পর আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এ দিন সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়েছেন অভিষেক। গত সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘এই সভা সফল হওয়ায় ইডি ফের অভিষেককে তলব করবে।’’ উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই দিন রাতেই ইডি অভিষেককে তলব করে বলে জানা যায়। নোটিস পেয়ে তৃণমূল সাংসদ এ দিন ইডি দফতরে গিয়েছিলেন।
বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইটারে লেখেন, সোমবার পর্যন্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
অতীতে কয়লাপাচারকাণ্ডে দিল্লিতে তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। বারবার দিল্লিতে তলবের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলায় গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।
এ দিকে প্রায় সাত ঘণ্টা সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির অফিস থেকে বেরোন অভিষেক। ইডি অফিসের বাইরে নিজের পুরনো এক বক্তব্যও স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমি তো দুই বছর আগেই বলেছি। আমার সঙ্গে বিন্দুমাত্র কোনও যোগসাজস বা যোগসূত্র যদি এই কেলেঙ্কারিতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, যদি পাঁচ পয়সা এখান থেকে আমি নিয়েছি… তাহলে আমার পিছনে ইডি বা সিবিআই লাগানোর দরকার নেই। একটি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করবেন। সেখানে গিয়ে মৃত্যুবরণ করব। আমি আমার বক্তব্য পাল্টাচ্ছি না।”
অন্য দিকে, এ দিনই বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আজই বড়ো কিছু হতে পারে। আপনারা নজর রাখুন”। এহেন মন্তব্যের নিন্দা করে কুণাল বলেছেন, ‘‘বিজেপি ইডি, সিবিআইয়ের সম্মান নষ্ট করছে। বুঝিয়ে দিচ্ছে যে বিজেপিই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণ করছে।’’
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টে! খারিজ নন্দীগ্রামের ভোট গণনা মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর আর্জি